সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:
এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির সাহায্য। মাঠের রেফারিকে সাহায্য করার জন্য আছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। আজ ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হলো এই প্রযুক্তি।
৫৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সের মধ্যে আন্তেনিও গ্রিজম্যানকে ফাউল করেন জশ রিসডন। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি। কিন্তু সেটা ফাউল ছিল কি না, তা বোঝার জন্য রেফারি নিয়েছিলেন ভিএআরের সাহায্য। শেষপর্যন্ত ফাউল নিশ্চিত হওয়ার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন মাঠের রেফারি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম সেই ভিএআর-এর সাহায্যে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে কোনো ভুল করেননি গ্রিজম্যান। নিজের নামটাও সেই সুবাদে তুলে ফেলেছেন ইতিহাসের পাতায়।
মোট চারটি ক্ষেত্রে রিফারিরা সহায়তা নিতে পারবেন ভিডিওর। লাল-কার্ড, উগ্র আচরণ, পেনাল্টি ও গোলের ক্ষেত্রে। বেলজিয়ামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফারিদের ভিডিও রিপ্লের সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা করেছেন একদল গবেষক। আর সেই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানেই দেখা গেছে রাশিয়া বিশ্বকাপে বাড়ছে লাল-কার্ডের সংখ্যা।
ইউনিভার্সিটি অব লেউয়েনে মোট ৮৮ জন রেফারির মধ্যে ভিএআরসহ এবং রিপ্লে ছাড়া হলুদ কার্ড দেওয়ার ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন ড. হোকিম স্পিটজ ও তাঁর দল। সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে ভিডিও রিপ্লের সহায়তা নিয়ে যেখানে ৬৩ শতাংশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে ভিএআর সহায়তা ছাড়া নিখুঁত সিদ্ধান্তের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশে।