মঙ্গলবার , ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাণীনগরে বোরো ধান কাটা শুরু, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Paris
এপ্রিল ২৪, ২০১৮ ৪:১৮ অপরাহ্ণ

সুকুমল কুমার প্রামানিক:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন সময় লাগবে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথা সময়ে কৃষকরা ভাল পরিচর্যা করায় এবছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা হওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর এই সময় দেশের দক্ষিণ ও উওরাঞ্চল বিশেষ করে ভেরামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক রাণীনগর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে চলতি ইরি-বোরো পাকা ধান কাটার জন্য আসা শুরু করেছে বিদেশী লোকজন।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্ত জুড়ে পাকা ধানের সোনালী রঙের সমরাহ। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রঙের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য দেখা যায়। মাঠ জুড়ে পাকা ধান বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ইরি-বোরো ধান চাষের দৃশ্য। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করছে কৃষকরা। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় কেনা-বেচা শুরু হলেও দর ভাল থাকাই কৃষকদের মুখে হাঁসি দেখা দিয়েছে। জিরা জাতের সুরু ধান মান ভেদে ৮শ’ ৭০টাকা পর্যন্ত হাটে-বাজারে বেচা-কেনা হচ্ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ৮টি ইউনিয়নে ১৮হাজার ৪শ’ ২৫হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলার কৃষকরা জিরাশাইল, খাটো-১০, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। নতুন ধান কাটার শুরুতেই বিঘা প্রতি ২০-২২ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে।

নওগাঁর ছোট যমুনা নদী বেষ্টিত নিম্নাঞ্চল হওয়ায় উর্বরা পলি মাটির জমিতে ইরি-বোরো ধান ব্যাপক আকারে চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও বিল মুনসুর, বিল চৌর, সিম্বা, খাগড়া, আতাইকুলা, গোনা, রক্তদহ বিল, একডালা, কালিগ্রাম, রাতোয়াল, ভাটকৈ মাঠে পাকা ধানের সোনালী রং।

উপজেলার বেতগাড়ী ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মো: আব্দুল খলিল সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আমি এবছর ৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ যথা সময়ে ভাল পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছি ফলন ভালই হচ্ছে। অপরদিকে, বেতগাড়ী গ্রামের কৃষক মো: বেলাল হোসেন জানান, আমিও ২ বিঘা ধান লাগিয়েছি। ধান কাটা শুরু করেছি ফলন ভালই হচ্ছে।

উপজেলার আবাদপুকুর হাটের ধান ব্যবসায়ী মো: বছির আলী মিঠু জানান, রবিবার হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে, জিরা জাতের ধান প্রতিমন মানে ৮শ’ ৫০থেকে ৭০টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে। আশা করছি দুই চার দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ এসএম গোলাম সারওয়ার সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ইরি-বোরো ধান লাগানোর শুরু থেকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে উপজেলায় ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে ও ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে বলে আমরা কৃষকদের কাছ থেকে জানতে পাড়ি।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে ও বাজারে ধানের ভাল দাম পেলে কৃষকদের বুকভরা আশা পূরণ হবে বলে কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান।
স/শ

সর্বশেষ - কৃষি