সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
- জোহানেসবার্গ টেস্টে ৪৯২ রানে হারল অস্ট্রেলিয়া
- ১৯৩৪ সালের পর এটি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়
- ভারনন ফিল্যান্ডার তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট
- পঞ্চম দিন স্থায়ী হয়েছিল ৯০ মিনিটেরও কম সময়
সাধারণ লড়াইটাও করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। বলা ভালো, অস্ট্রেলিয়াকে সেই লড়াইটা করতে দেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার ভারনন ফিল্যান্ডার। জোহানেসবার্গ টেস্টে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রোটিয়ারা সেই প্রয়োজন সারল দিনের প্রথম সেশনেই। ফিল্যান্ডার তুলে নিলেন ৬ উইকেট। ৪৯২ রানে হেরে ‘দুঃস্বপ্নের’ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়টা অসাধারণভাবেই ধরা দিল দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। ৪৯২ রানের জয় যে ১৯৩৪ সালের পর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। স্মরণীয় হয়ে রইল মরনে মরকেলের বিদায়টাও।
৩ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে ছিলেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও শন মার্শ। পঞ্চম দিনে কোনো রান যোগ না করেই ফেরেন শন মার্শ ও মিচেল মার্শ। ফিল্যান্ডারের বলে শনের ক্যাচ নেন বাভুমা, মিচেলের কুইন্টন ডি কক। রান একশ পেরোনোর আগেই হ্যান্ডসকম্ব ও অধিনায়ক টিম পেইনের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এই দুটি উইকেটও তুলে নেন ফিল্যান্ডার। ৬ ওভারের স্পেলে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন তিনি।
৯৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়ার জন্য গৌরবের আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, চাড সেয়ার্সরা মিলে সংগ্রহটাকে ১১৯ রানে বেশি নিতে পারেননি। সাকল্যে ৯০ মিনিটের বেশি গড়ায়নি জোহানেসবার্গ টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা।
অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার এই সিরিজের শেষ অঙ্কে থাকল অস্ট্রেলিয়ার জন্য কেবল দুর্ভোগই। কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে নিষিদ্ধ হলেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এর আগেও কথার লড়াইয়ের সীমা অতিক্রমসহ বিভিন্ন ঘটনা কলুষিত করেছেন এই সিরিজকে। খর্বশক্তির দল নিয়ে টিম পেইনের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা জোহানেসবার্গে যে মানসিকতাকে সঙ্গী করে মাঠে নেমেছিল, ৪৯২ রানের হারটা যেন সেটিকে খুব করেই সবার সামনে তুলে ধরছে।
প্রথম আলো