শনিবার , ৯ জুলাই ২০১৬ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ঈদের আনন্দে নগরীর বিনোদকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল

Paris
জুলাই ৯, ২০১৬ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনেও রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উৎসবপ্রেমীদের ভীড় ছিল ব্যাপক। ঈদের দিন বিকেল থেকেই নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদনকেন্দ্রগুলো। যা আজো অব্যাহত রয়েছে।

 

নগরীর প্রধান বিনোদনকেন্দ্র যেমন পদ্মার পাড়, শহীদ এএইচএম  কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়া খানা এবং শহীদ জিয়া শিশু পার্কে সকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। রং বেরঙের পোশাক পড়ে পরিবার পরিজন, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ ছুটে আসছেন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে।

 

ঈদের তৃতীয় দিন শনিবার রাজশাহীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সাথে হাঁটা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে যেন মেতে উঠেছে।

পানিতে পা ডুবিয়ে কেউ চলেছে পদ্মার নতুন পানিতে নৌকা ভ্রমনে। আবার আদরের ছোট্ট সন্তানটিকে নিয়ে এসেছেন মজার মজার খেলাঘর দেখাতে।

 

রাজশাহীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র বড়কুঠি পদ্মার পাড় ও বিজিবি’র সীমান্ত অবকাশ নোঙ্গর এলাকায় দেখা যায় উৎসবপ্রেমীদের ঢল। অনেকদিন ব্যস্ত থাকার পর পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে আনন্দের অনুভূতি জানালেন তারা।

 

পদ্মা পাড়ের সীমান্ত অবকাশে বেড়াতে আসেন সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমানের আট বছরের মেয়ে তামান্না রহমান সিল্কসিটিনিউজকে তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে নদীর ধারে বেড়াতে এসে। আমি তিনটা বেলুন কিনেছি, পেয়ারা খেয়েছি, নৌকাতে চড়েছি’।

 

সাইদুর সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, ‘কাজের চাপে পরিবার নিয়ে বাইরে বেড়ানোর সুযোগ হয় না। আজ বাসায় অতিথি এসেছিল তাদেরকে সময় দিয়ে পরিবার নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছি’।

 

সেলফি প্রেমী বন্ধুদেরও কমতি নেই এখানে। গ্রুপ করে কিংবা পরিবার নিয়ে নানা ধরনের সেলফি তুলতে ব্যস্ত অনেকে। আর সেলফি মানেই ফেসবুক আর তাই পদ্মা পাড়ের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে স্মার্টফোনের দথলেই চলছে আড্ডাবাজি।

 

এমনই এক সেলফিবাজ সাকিব আদনান বলেন, ক্যামেরাতে ছবি তুললে ক্যামেরাম্যান আসে না। আর আমি চাইনা আমার গ্রুপের কেউ বাদ পড়ুক। তাই ইচ্ছামতো সেলফি তুলছি।

13567055_952644831515064_4986716127545715340_n

এদিকে শহীদ এএইচএম  কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় সকাল থেকেই বিনোদনপ্রেমীদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। দুরান্ত থেকে বাস,ট্রাক,অটোরিকশা রিজার্ভ করে দলে দলে আগমন হচ্ছে বাঘ ভাল্লুকের ঘরের সামনে। বিভাগের একমাত্র চিড়িয়াখানায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের আগমন বেশি লক্ষ্য করা যায়।

 

নগরীর নওদাপাড়া সংলগ্ন শহীদ জিয়া শিশু পার্কেও বিনোদন প্রেমীদের ভীড়। পছন্দের রাইড আর মন মাতানো আকর্ষণ দেখতে বিকেল হতে না হতেই লাইন লেগে যাচ্ছে টিকিটের জন্যে।

 

শহীদ জিয়া শিশু পার্কে বেড়াতে আসা রাইহান হোসেন সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, গত ঈদে রাজশাহীতে ছিলাম না। এবার রাজশাহীতে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।তাই ছোট ভাই বোনদের নিয়ে পার্কে আসলাম আনন্দ ভাগাভাগি করতে।

 

এছাড়াও ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিতে কেউ কেউ আবার রাজশাহীর বাইরে যাওয়ার  পরিকল্পনাও করছেন । সব মিলিয়ে রাজশাহীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর পরিবেশে নতুন রং এনে দিয়েছে বিনোদনপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসে।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর