বুধবার , ৩১ আগস্ট ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দাড়িওয়ালা ভয়ঙ্কর ক্রিকেটার

Paris
আগস্ট ৩১, ২০১৬ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

ডব্লিউ জি গ্রেস, মাইক বিয়ারলি, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস থেকে হালের ভিরাট কোহলি কিংবা মিসবাহ-উল-হক। ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের হলেও একটা জায়গায় তাদের অদ্ভুত মিল। ফর্মের পাশাপাশি ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনায় ছিল তাদের শ্মশ্রুমণ্ডিত চেহারাও। ক্রিকেটের সুদীর্ঘ পথচলায় সবসময়ই ক্রিকেটারদের অন্যতম ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে ‘দাড়ি’। বর্তমান শতাব্দীতে এসে যেন অন্য মাত্রা পেয়েছে এই ‘দাড়ি’।

 

২২ গজের খেলায় ‘দাড়ি’ ভীতিকর কিছু না হলেও কয়েকটি শ্মশ্রুমণ্ডিত চেহারা নিঃসন্দেহে প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ। চলুন দেখে নেই এমনই ৫ জন শ্মশ্রুমণ্ডিত ক্রিকেটারের কথা যারা বর্তমানে দোর্দাণ্ড প্রতাপে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন প্রতিপক্ষের উপর।

 

১. মিসবাহ উল হক :

যদিও কেবল সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজেই মুখ ভর্তি খোঁচা দাড়িতে দেখা গেছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে, এটা বললে বোধহয় অত্যুক্তি করা হবে না মিসবাহ-ই এখন প্রতিপক্ষের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে ৪২ বছর বয়সে যখন অন্যরা অবসর নিয়ে পরিবার নিয়ে দিব্যি আয়েশ করে বেড়াচ্ছেন তখন ২২ গজে সাদা পোশাকে দিন দিন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছেন মিসবাহ। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে তো হাসতে হাসতে নাম উঠিয়ে ফেললেন, সেঞ্চুরি হাঁকালেন  সবচেয়ে বেশি বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও। সেই ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির পর তার স্যালুট আর পুশ-আপ তো রীতিমত `ট্রেন্ড` এ পরিণত হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে। বিতর্ক কখনোই পিছু ছাড়েনি তার, সমপরিমাণ সমালোচিত হয়েছেন তার ধীরগতির ব্যাটিং এর জন্যও। কিন্তু দিন শেষে জয় হয়েছে তার ঠান্ডা মাথার সু-স্থির ব্যাটিংয়ের-ই। দেখা যাক কোথায় গিয়ে থামেন মিসবাহ উল হক।

 

Hashim_amla

২. হাশিম আমলা:

মুখভর্তি বিশাল দাঁড়ি। মাথায় চুলের ছিটেফোঁটাও নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণের পর থেকেই এই লুক এর জন্য আলোচনায় হাশিম আমলা। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ম্যাচ প্রতি রানের গড় প্রায় ৫০ এর উপর। ঝুলিতে আছে ৪৮টি সেঞ্চুরি। রেকর্ড বুকে ঝড় বইয়ে দেওয়া এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরাদের একজন। হাল আমলের জনপ্রিয় ফরম্যাট টি-টুয়েন্টিতেও যে তিনি সমানভাবে দক্ষ সেটি প্রমাণ করেছেন সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই। টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। তাও ঈর্ষনীয় ৩৭+ গড়ে। ৩৩ বছর বয়স হয়ে গেলেও আরো অনেকদিন ব্যাট হাতে মাঠ মাতাবেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হাশিম আমলা এটা বলাই যায়।

 

Moeen_Ali

৩. মঈন আলী:

কখনো সেভাবে নিজেকে ধারাবাহিক প্রমাণ করতে পারেননি ঠিকই। কিন্তু যখনই স্ব-মহিমায় জ্বলে উঠেন মঈন আলী, উপহার দেন অনেকদিন মনে রাখার মত কিছু মুহূর্ত । গ্রায়েম সোয়ানের হঠাৎ অবসরই ইংল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ করে দেয় বার্মিংহামের এই ক্রিকেটারকে। অফস্পিনার হিসেবে দলে ঢুকলেও সমানভাবে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ব্যাট হাতেও। স্পিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ২০১৪ সালের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে যেভাবে ছেলেখেলা করলেন তা অতো সহজে কী করে ভুলবেন রোহিত, বিরাটরা। সেই সিরিজে একবার ৫ উইকেটসহ মোট ১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন মঈন। ব্যাট হাতে চমক দেখানো কিছু ইনিংস খেললেও ধারাবাহিকতার অভাব তাকে ওপেনার থেকে বানিয়েছে `লোয়ার মিডল অর্ডার` ব্যাটসম্যান। ইসলাম প্রীতি আর মুখের দাঁড়ির ধরন নিয়ে নানান সময়ে আলোচিত হলেও নিজের জায়গায় অটল বিপিএলে `দুরন্ত রাজশাহী`তে খেলে যাওয়া এই ক্রিকেটার।

 

kane_williamson

৪. কেন উইলিয়ামসন:

কখনো ক্লিন শেভড আবার কখনো খোঁচা দাড়িতে দেখা গেলেও এই মুহুর্তে যেহেতু দাড়ি মুখেই বেশি দেখা যাচ্ছে তাই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককে এই দলে রাখাই যায়। বর্তমান ক্রিকেটের অন্যতম বৈচিত্র‍্যময় আর ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান ধরা হয় তাকে, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বল হাতেও দেখাতে পারেন চমক। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সেই সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। কেন উইলিয়ামসনের ধিরস্থির দর্শনের ব্যাটিং দেখে কে বলবে টি-টুয়েন্টিতে তার স্ট্রাইক রেট ১২৫! অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন মেরে কেটে, জানান দিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যভেদ করতে পছন্দ করেন তখন ঠান্ডা মাথার দুরন্ত সব শটে কখন যে প্রতিপক্ষের বুকে ছুরি বসিয়ে দিবেন উইলিয়ামসন তা টেরই পাবেন না। একটা মজার তথ্য দিয়ে রাখি, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হবার পর বাহাতি অফ স্পিন শুরু করেছিলেন আজন্ম ডানহাতি উইলিয়ামসন। যদিও নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আর চালিয়ে যাননি। আসলে উইলিয়ামসনরা সব-ই পারেন। এঁরা যত বেশি থাকবেন ততোই ক্রিকেটের মঙ্গল।

 

Virat_Kohli

৫. ভিরাট কোহলি:

ভাবতে পারেন, ১৬/১৭ ম্যাচের একটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে চার সেঞ্চুরি? যেখানে অনেক মারদাঙ্গা ক্রিকেটার কয়েকশ ম্যাচ খেলেও সেঞ্চুরি নেই একটিও। ওয়ানডেতে তো সেঞ্চুরিকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছেন অনেক আগেই। সম্প্রতি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন টেস্টেও। তার নাম এখনই উচ্চারিত হচ্ছে শচীন টেন্ডুলকার, স্যার ডন ব্র‍্যাডম্যানের পাশে। ভারতীয় টেস্ট অধিনায়কের অধিনায়কত্বটাও শুরু হয়েছে তার মত করেই। সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান সফরে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। সব মিলিয়ে এই প্রজন্মের বোলারদের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক বিরাট কোহলি। যত রান করছেন ততোই আরো বেশি ক্ষুধার্তরূপে ২২ গজে আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি। কে জানে হয়ত `আত্মতুষ্টি` শব্দটি বিরাটের অভিধানেই নেই।

সূত্র: রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - খেলা