সোমবার , ২৯ আগস্ট ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নিজেদের অসহায় ভাববেন না-বাঘায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

Paris
আগস্ট ২৯, ২০১৬ ৮:১০ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেছেন, আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। এমনকি  বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-তিনিও আপনাদের পাশে আছেন। বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাছে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 
সোমবার বিকেল ৩ টায় উপজেলার নারায়নপুর সড়ক ঘাটে ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি বন্যাত্রদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বর্তমান সরকার গরিব দুঃখিদের সরকার। আমরা সংগ্রাম করে বাচবো। যেমনটি বেঁচে ছিলাম ৭১ সালে। আপনারা নিজেদের অসহায় মনে করবেন না। আপনাদের দু:খ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে নগদ ৮ লক্ষ টাকাসহ চাল-ডাল বিতরণ করা হয়েছে। আজকেও বিতরণ করা হবে ২০ কেজি কওে এক হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে চাল। এরপর বন্যার পানি না কমলে আগামিতে আরো ত্রাণ বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, বিপদ আসতেই পারে, কিন্তু ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা। বর্তমানে দেশের অনেক স্থানেই বন্যা হচ্ছে। আর সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে  আছেন  সরকার।

 
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পূর্বাসন কর্মকর্তা  আলাউদ্দিন, বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম, চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিযুল আযম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আল ওয়াদুদ প্রমুখ।

 
এর আগে সকাল ১০ টায় চরাঞ্চলের বাসিন্দা (ঢাকায় কর্মরত) আব্দুল মোতাল্লেব নামের একজন সমাজ সেবক চরাঞ্চলের মানুষের দু:খ-কষ্টের কথা যেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ২০০ পরিবারকে নগদ ৫০০ করে  টাকা প্রদান করেন।

 
প্রসঙ্গত, গত প্রায় এক মাস ধরে  প্রমত্তা পদ্মা ভয়াবহ রুপ নিয়ে গ্রাস করেছে বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলকে। এর ফলে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তায় ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির ফলে ডুবে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং  জমির ফসলসহ প্রায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১১টি বিদ্যালয়ের তিন হাজার শিক্ষার্থীর পড়া-লিখা। আবার অনেকের রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে সাপের ভয়ে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার অভাবে অনেকেই অনাহারে-অর্ধ্যাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

 
তাদের বাহন এখন টিনের তৈরী ডুংগা। চরাঞ্চলের চকরাজাপুর, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, দিয়ার কাদিরপুর, লক্ষীনগর, মানিকের চর এবং  টিকটিকি পাড়াসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দী রয়েছেন। তারা বাড়ি থেকে ঠিকমত বের হতে পারছেন না। এ সব কারনে বন্ধ হয়ে গেছে  ওই অঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতি হয়েছে  আখ, পাট ও নানা রকম সবজিসহ চলতি আমন  ধানের।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর