রবিবার , ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পদ্মার পানি বৃদ্ধি, সাপ আতঙ্কে বাঘার মানুষ

Paris
আগস্ট ২৮, ২০১৬ ১:৪৮ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:
ফারাক্কার সবগুলো গ্রেট ঘুলে দেওয়ায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মায়দিনদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় তিন হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ সাপ আঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দিয়ারকাদিরপুর চরের ২০টি পরিবারের মানুষ সাপ আতঙ্কের কথা জানান। এই চরের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা মুঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, শনিবার তার বাড়িতে পরপর চারটি সাপ উঠে। এসময় সাপ দেখতে পেয়ে চারটি সাপই মেরেছে। সাপ চারটির মধ্যে দুটি গোখরা ও দুটি দুধরাজ। বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছে মমতাজ বেগমের। কোল জুড়ে দুটি সন্তান এসেছে। একটির বয়স আড়াই বছর ও আরেকটির বয়স এক বছর। দুই সন্তান নিয়ে আতংকে বসবাস করছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, আমার শয়ন ঘরে গত সোমবারদুপুরে একটিগোখরা সাপ উঠেছিল। আমার চিৎকারে বাড়ির অন্যরা এগিয়ে এসে সাপটি মেরেছে। ফলে আমি দুটি সন্তান নিয়ে আতংকের মধ্যে বসবাস করছি।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়র হোসেন শিকদার বলেন, আমার বাড়ির পাশে এক বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় দুটি সাপ উঠেছিল। সাপ দুটি তারা মারতে পারেনি। তবে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সাপ আতংকে রয়েছে ১৫টি চরের প্রায় তিন হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, আমার বাড়ি চকরাজাপুর চরে।ফারাক্কার সবগুলো গ্রেট ঘুলে দেওয়ায় কারনে পদ্মার ১৫টি চরের প্রতিটি বাড়িতে পানি উঠেছে। পানি উঠার সাথে সাথে সাপের আশ্রয়গুলো ডুবে গেছে। ফলে সাপ উঁচু আশ্রয় স্থল হিসেবে মানুষের বাড়িতে উঠছে। আর সাপ বিশাক্ত বিধায় আতংকে পড়ছে মানুষ।

এছাড়া পদ্মার চরের মানুষ দুঃখ দূর্দশার মধ্যে জীবন যাবন করছে। তাদের আশ্রয়স্থল পানিতে ডুবে গেছে। তাদের বাড়িতে খাবার নেই। বর্তমানেকোন কাজও নেই। তারা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাবন করছে। ইতিমধ্যে পদ্মার চরের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে গেছে। পাশাপাশি ভাংছে পাড়। পানি উঠার কারনে এক সপ্তাহ থেকে চরের ১১টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, দূর্দশার মধ্যে চরের মানুষ বসবাস করছে। তাদের জন্য ৩০ জুলাই থেকে ২৭ আগষ্ঠ পর্যন্ত চারবার চাহিদার তুলনায় কম ত্রান হিসেবে নগদ টাকা, চাল, ডাল, মুড়ি, দিয়াশসালাই, স্যালাইন, চিনি, গুড়, মোমবাতি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সমাজের সুহৃদ ব্যক্তিদের কাছে পদ্মার চরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন। তবে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সাপ উঁচু স্থান খুজে। আতংক হওয়াটা স্বাভাবিক।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর