নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্ণা জামান বলেন, বর্তমানে চাকরী ঘরে বসে আসেনা। আমার বাবা চেয়েছিলেন নগরীতে বিভিন্ন শিল্প কারখানা বাড়াতে। যাতে করে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। এছাড়াও রাজশাহীতে সরকারি স্কুল বেশি নেই। আমার বাবা পুনরায় নির্বাচিত হলে ছেলেদের জন্য দুটি এবং মেয়েদের জন্য দুটি স্কুল, কলেজ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজশাহীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা এসব কথা বলে। এ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ২৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব ছাত্রলীগ।
অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, জাতীয় চার নেতার একজন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বন্ধু শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার পরিবারের সন্তান আমি। আমার বাবা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বিগত সময়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সাড়ে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মাত্র সাড়ে চার বছরে তিনি রাজশাহী শহরকে সোনা দিয়ে মুড়িয়েছেন। এই রাজশাহী শহরটি মূলত আরো উপরে উঠেছে আমার দাদার কারণে।
অর্ণা জামান বলেন, আমার বাবা রাজশাহীকে একটি সোনার শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা হতভাগা যে আমারা পুনরায় তাকে নির্বাচিত করে সেই সুযোগটি দিতে পারিনি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে রাজশাহীর বিভিন্ন রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আর একবার যদি আমরা তাঁকে নির্বাচিত করে আনতে পারতাম এই সমস্যা গুলো থাকতো না।
দেশের উন্নতি হয় তখন যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এজন্য আগামী নির্বাচনে আমার বাবা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ভোট দিয়ে রাজশাহী নগরীর সেবা করার সুযোগ করে দিন।
২৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম নাদিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলী হৃদয়ের পরিচালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী ২৮ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার ও মতিহার থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম জামান জুয়েল, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, ২৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দীন আব্দুল্লাহ, ২৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিম আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার, মতিহার থানা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সাবেক সভাপতি আনন্দ কুমার ঘোষ, নগর যুবলীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
স/অ