সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আগামী তিন বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ লোক কানাডায় অভিবাসনের সুযোগ পাবে। ২০১৮-২০ সালকে কানাডায় দক্ষ কর্মীদের ইমিগ্রেশনের সেরা সময় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ইমিগ্রেশন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হোসাইন। তিনি বলেন, স্কিল্ড ও ট্রেড স্কিল্ড ক্যাটাগরিসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আগামী তিন বছরে প্রায় ১০ লাখ লোক বৈধভাবে কানাডায় অভিবাসনের সুযোগ পাবে।
এই বিষয়ে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সিআরএস পয়েন্টের নিম্নমুখী স্কোরের প্রবণতা দেখে বোঝা যায় ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম IELTS দিয়েও কানাডায় ইমিগ্রেশন করার সুযোগ পাওয়া যাবে এবং যেহেতু কানাডা সরকারের ইমিগ্রেশন লক্ষ্যমাত্রা অনেক উঁচুতে, তাই নতুন বছরে অনেক ঘন ঘন ড্র হওয়ার সমূহসম্ভাবনা রয়েছে। যা বাংলাদেশিসহ সমগ্র পৃথিবীর যোগ্য ইমিগ্রেশন-প্রত্যাশী লোকজনের জন্য দারুণ একটি সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
সঠিক নিয়মে আবেদন করলে এক বছরের মধ্যেই কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করা সম্ভব। এই সুযোগ নিতে চাইলে আবেদন করতে হবে এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে। গত ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ সালে ড্র-তে দুই হাজার ৭৫০ জন আইটিএ পেয়ে গেছে। সিআরএস পয়েন্টের নিম্নমুখী হার দেখে বোঝা যায়, আগামীতে আরো সুযোগ আসবে দক্ষ লোকজনদের জন্য। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যে কেউ একজন দক্ষ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সহায়তায় জেনে নিতে পারেন আপনার প্রকৃত যোগ্যতা আছে কি না? সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি বা আপনারা গ্রহণ করতে পারেন স্বপ্নের কানাডার স্থায়ী নাগরিকত্ব। মনে রাখতে হবে কানাডা সরকার ‘প্রথম যে আসবে তাকে আগে সার্ভিস দেওয়া হবে’ পলিসিতে কাজ করে। বিল সি-৬ অনুযায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে যোগ্য হতে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে কানাডায় পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর বসবাস করতে হবে, যেটি এর আগে ছিল ছয় বছরের মধ্যে চার বছর থাকার নিয়ম। এ ছাড়া কানাডায় যারা অস্থায়ী স্ট্যাটাসে ছিল, যেমন- ওয়ার্ক এবং স্টাডি পারমিট, তারাও তাদের কানাডায় বসবাসের সময়টুকু তিন বছরের মেয়াদের একটি অংশ হিসেবে গণনা করতে সক্ষম হবে।
কানাডা ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করতে মূলত প্রয়োজন হয় একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা, পরিবারের তথ্য, একাডেমিক সার্টিফিকেট, আইইএলটিএস, ইসিএ সার্টিফিকেট, চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
মূলত আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় অনলাইনের মাধ্যমে। প্রথমে যোগ্যতা আছে কি না তা নিরূপণ করা হয়, অতঃপর প্রোফাইল তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজপত্র দাখিল করে ড্র-এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিছু প্রোগ্রামের জন্য জব অফারের প্রয়োজন পরে, এই সময়ের মধ্যে জব অফারও ম্যানেজ করতে হয়। অতঃপর ইটিএ ও আইটিএ পড়ে মেডিকেল ও ভিসার জন্য ফাইনালি প্রসেস করতে হয়। নির্ভুলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার মধ্যেই সফলতা নির্ভর করে। তাই একজন দক্ষ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সহায়তায় ফাইলটি প্রসেস করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সংশোধিত নিয়মে পিএনপি, এক্সপ্রেস এন্ট্রি, এফএসডাব্লিউপি, এফএসটিপি, কিউএসডাব্লিউপি, এআইএনপি, এসআইএনপি, এমপিএনপি, এনএসএনপি, বিসিএনপি, ওআইএনপি, কেয়ারগিভার, ফ্যামিলি স্পন্সরশিপসহ নতুন নতুন বিভিন্ন প্রোগ্রামে সহজ নিয়মে পেশাজীবীদের ইমিগ্রেশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কানাডা সরকার পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে আবেদনকারীরা যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন :
লো স্কিল্ড ট্রেড প্রোগ্রাম
অতি সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতে আগামী তিন বছরে এই প্রোগ্রামসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবে। তবে যেহেতু কানাডায় লো স্কিল্ড কাজের সুযোগ বেশি এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয় সুতরাং শুধুমাত্র এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবে। এটি একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে আবেদনকারীদের IELTS-এর প্রয়োজন পড়বে না। শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট থাকলেই হবে। তবে আবেদনকারীদের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
প্রচলিত স্কিল্ড প্রোগ্রামের আওতায় রয়েছে
১। এক্সপ্রেস এন্ট্রি :
আমেরিকার সরকার এইচ ওয়ান বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করার পর, বিপুলসংখ্যক দক্ষ ও যোগ্য পেশাজীবীর ওয়েলফেয়ার দেশগুলোতে মাইগ্রেশনের শেষ ভরসাস্থল এখন কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি। প্রোগ্রামটি মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত, তা হলো ১। ফেডারেল স্কিল ওয়ার্কার ২। ফেডারেল স্কিল ট্রেডার ৩। কানাডিয়ান এক্সপেরিয়ান্স ক্লাস। এখানে প্রফেশনের কোনো ধরাবাঁধা লিস্ট নেই, নেই কোনো কোটা সিস্টেম। মিনিমাম ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকলেই এই প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়।
প্রভিন্সশনাল নমিনি প্রোগ্রাম (পিএনপি)
কানাডার মোট ১১টা প্রভিন্স ইমিগ্রেশন করার জন্য আবেদনকারীদের নমিনেশন দিতে পারে। একেক প্রভিন্স একেক সময়ে তাদের প্রোগ্রাম উন্মুক্ত করে দেয়। সাধারণত প্রভিন্সশনাল প্রোগ্রামের শর্তসমূহ আলাদা হয়। যোগ্য আবেদনকারীদের তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করা উচিত। তবে এই ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হয় প্রোগ্রামের সময়কাল সম্পর্কে। অনেক শর্তই এই ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য আবার কিছু কিছু নতুন শর্তও আরোপ করতে দেখা যায়।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিন্সশনাল প্রোগ্রাম
আইইএলটিএস এ ৫.৫-সহ দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধুমাত্র গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি থাকলেই কানাডার অন্যতম সুন্দর এই প্রদেশে আবেদন করতে পারেন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিন্সশনাল প্রোগ্রাম, যা চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত, এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিসি-স্কিল ওয়ার্কার ও ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট এবং স্কিল ইমিগ্রেশন : স্কিল ওয়ার্কার ও এন্ট্রি লেভেল সেমি স্কিল। সর্বশেষ ড্রতে ৩৭৭ জন নমিনেশন পেয়েছে শুধু এই প্রভিন্স থেকে।
সাসকাচুয়ান ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম
কানাডার অন্যতম সেরা এবং উন্নত প্রদেশ সাসকাচুয়ানে বর্তমানে সুযোগ আছে কিছু বিশেষ পেশাজীবীদের জন্য খুব সহজ শর্ত পূরণ করে আবেদন করার এবং দ্রুততম সময়ে সপরিবারে ইমিগ্রেশন ভিসা পাওয়ার।
আপনি যদি নিচের কোনো একটি পেশার অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে দ্রুত ফাইল প্রসেস করুন।
– কম্পিউটার বা ইনফরমেশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার/অ্যানালিস্ট,
– সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
– মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
– এনজিও কর্মকর্তা/সোশ্যাল ওয়ার্কার/প্রজেক্ট ম্যানেজার
– কৃষি ব্যবস্থাপক/কৃষি কর্মকর্তা,
– সাপ্লাই চেন/পারচেজ ম্যানেজার
অন্টারিও ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম
কানাডায় যারা পড়াশোনা করেছে, যাদের কানাডায় চাকরি করার যোগ্যতা রয়েছে, যাদের কানাডা থেকে চাকরির অফার রয়েছে অথবা যারা ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তারাই এই নির্দিষ্ট প্রভিন্সে আবেদন করে স্থায়ী হতে পারে।
আবেদন করার ডেডলাইন : প্রোফাইল তৈরি করার পর মাত্র ১৪ দিন সময় থাকে যে কোনো স্কিমে আবেদন শেষ করার।
নভো স্কশিয়া নমিনি প্রোগ্রাম
২০১৫ সালের পর বহু কাঙ্ক্ষিত এই প্রোগ্রামটি আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন চালু হতে পারে। ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্টস, অ্যাডমিন অফিসার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার দক্ষ ব্যক্তিরা, নার্স, এনজিওকর্মীরা সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম
মার্চ ২০১৭ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। এর আওতায় দীর্ঘদিন কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যেহেতু প্রোগ্রামটিতে জব অফার থাকে, তাই অনেকের পছন্দনীয় প্রোগ্রাম এটি। পরিবারসহ ২০০০ ফ্যামিলি ২০১৭ সালে এই সুযোগটি পাবে বলে আটলান্টিক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কুইবেক ইমিগ্রেশন
কুইবেক কানাডার একটি প্রভিন্স হলেও এর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আলাদা ও স্বতন্ত্র। শুধু ২০১৮ সালে সরকারের পরিকল্পনা ৫১ হাজার নতুন ইমিগ্র্যান্ট নেওয়া। বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ করে তাদের প্রোগ্রাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সাধারণত এই প্রভিন্সের শর্ত বা যোগ্যতাসমূহ অনেক সহজ ও শিথিলযোগ্য থাকে। কুইবেক-এর প্রোগ্রামগুলো মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে যেমন : ১. কুইবেক স্কিল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, ২। এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম ৩। কুইবেক এক্সপেরিন্স ক্লাস। প্রতিটি প্রোগ্রামের নিজস্ব শর্তাবলি রয়েছে। প্রয়োজন ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো কোনো আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে আপনারা আবেদন করতে পারেন।
আলবার্টা ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম
• গ্র্যাজুয়েশন/ডিপ্লোমা
• সংশ্লিষ্ট কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতা
• আইইএলটিএস ৫।
যাদের মিনিমাম এই যোগ্যতা রয়েছে এমন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, নার্স, রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার, সেলসম্যান, হেলথকেয়ার ম্যানেজার, অ্যাকাউনটেন্ট পেশার লোকজন এখন তৈরি হন আবেদন করার জন্য। জানুয়ারি ২০১৮ সালে আপনাদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে প্রোগ্রামটি।
ফ্যামিলি ইমিগ্রেশন
ফ্যামিলি Sponsorship-এর আওতায় কানাডায় ইমিগ্রেশন হওয়া সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত হয়। তবে যাদের নিকট আত্মীয় নেই তারা এই সুযোগ পাবে না।
কেয়ার গিভার প্রোগ্রাম
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হোন। শুধু Certified নার্সরা আবেদন করতে পারবেন। অন্য সব প্রচলিত প্রোগ্রামের মতো 67 point বা CRS 1200 পয়েন্টের প্রয়োজন নেই। নার্সিং-এ যাঁদের ডিপ্লোমা বা BSc (Nurse) রয়েছে এবং ন্যূনতম IELTS-5 আছে, তাঁরাই সরাসরি আবেদন করে চাকরিসহ কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন Live-In Caregiver Program (LCP) মাধ্যমে। শিশু শিক্ষা ও যত্ন, Geriatric Care, Pediatric Nursing বা বয়স্কদের সেবা or First Aid মূলত এদের প্রধান কাজ।
এ ছাড়া IT Professional, Engineer, Manager, HR, Admin, Finance, Accounting, Sales & Marketing, Admin (HR), Information System Analysis & Consultants, Media Developers, Medical Representative, University Professor and Lecturer, Retails Sales Supervisor, Graphic Designer & Illustrators, Doctors, Nurse, Pharmacist, Bankers পেশাজীবীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে লেখক, কলামিস্ট ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। এই বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু প্রকৃত পক্ষেই যারা যোগ্যতা রাখে তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না। ২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ লোকজনের কোটা অনেক বেশি, সুতরাং আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল info@worldwidemigration.org ঠিকানায়।
এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি এসে খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে প্রাথমিক তথ্যের জন্য কথা বলতে পারেন 01966041555, 01904036899, 01966041888, 01904036898, 01966041333 নম্বরে।
হালনাগাদ তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন www.facebook.com/WorldwideMigrationConsultantsLtd ফেসবুক পাতায়।