মইদুল ইসলাম মধু,:
সরকারী কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পেনশনসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর পুঠিয়ায় সড়কের বাতি বন্ধ রেখে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখা।
বুধবার সন্ধা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কে এই মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করা হয়।
রাজশাহী জেলা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান টিটুর সভাপতিত্বে ও পুঠিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসুচিতে একাত্বতা ঘোষনা করে উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র রবিউল ইসলাম রবি।
রাজশাহী জেলার ১৪ টি পৌরসভার সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশ গ্রহনে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যদেন রাজশাহী জেলা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা। এছাড়াও বক্তব্যদেন পুঠিয়া পৌরসভার আবদুল জব্বার, কাকনহাট পৌরসভার ওবায়দুর রহমান, তাহেরপুর পৌরসভার জাহাঙ্গীর আলম, নওহাটা পৌরসভার সাজ্জাদ হোসেন ও দূর্গাপুর পৌরসভার আকরাম হোসেন প্রমূখ।
মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসুচিতে অংশ নেয়া তাহেরপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলি (অদা) জাহিদুল হক বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের ৩২৭ টি পৌরসভার ৩২ হাজার ৫’শ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী নিরলশ ভাবে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ জনগণকে ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। অথচ এই ৩২ হাজার ৫’শ কর্মকর্তা কর্মচারি আজ মানবেতর জীবন জাপন করছি।
তিনি বলেন, ২ মাস থেকে প্রায় ৫৭ মাস পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে অনেক পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা আজ দূর্বিসহ জীবন জাপন করছে।
রাজশাহী জেলা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান টিটু বলেন, বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে প্রর্যায়ক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও প্রতিটি পৌরসভায় অর্ধ-দিবস ও পূর্ন-দিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর জেলা সদরে কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তানদের নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করা হবে। দ্রুত আমাদের দাবী মানা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
স/শ