নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে থানার ভিতরে যুবদলের এক নেতাকে ধরে পিটিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং তার সহযোগীরা। এতে সানোয়ার হোসেন টুটুল (৩০) নামের বাম পাশের কলার বোনের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে। টুটুলকে পিটিয়েছেন দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলীসহ তাঁর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। পরে আহত টুটুলকে দুর্গাপুর থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
আহত টুটুল অভিযোগ করে জানান, তাঁর ভাই বাবুল হোসেনের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গতকাল উভয়পক্ষকে ডেকে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মীমাংসা বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে জমির কাজপত্র দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে টুটুলের পক্ষেই সুপারিশ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুলের পক্ষ নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হওয়া দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী টুটুলের ওপর চড়াও হন।
টুটুল পরিস্থিতি বেগতিক থেকে থানা থেকে বের হয়ে চলে আসার চেষ্টা করেন। এসময় আজাহার আলী এবং পৌরৈ ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুজ্জামান ও তাদের লোকজন পেছন থেকে ধাওয়া করে থানার ভিতরেই টুটুলকে ধরে চেয়ার দিয়ে মারপিট করেন। এতে টুটুল আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে এক্সরে করে দেখা যায় তার বাম পাশের কলার বন ভেঙে গেছে।
টুটুল বলেন, থানার ভিতরেই আমাকে ধরে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা আজাহার এবং তার সহযোগীরা। এসময় পুলিশও এগিয়ে আসেনি। আমি কোনো অন্যায় করিনি। বরং অন্যায়ভাবে আমার জমি দখলের চেষ্টার জন্য আওয়ামী লীগের ওই নেতা আমার ভাইয়ের পক্ষ নিয়েছে। এ কারণেই সে আমাকে ধরে পিটিয়েছে। সে টাকার বিনিময়ে আমাকে পিটিয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলীর সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, মীমাংসা বৈঠকের পরে টুটুলের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমি দেখিনি। তাকে কোথায় মেরেছে তা বলতেও পারবো না।’
এদিকে ওই ঘটনার পরে বিষয়টি পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার আলী। এ কারণেই পুলিশের সামনেই ঘটনাটি ঘটলেও এ নিয়ে তারা মুখ খুলছেন না। তবে আজাহার এবং তার লোকজনের এমন কাণ্ডে দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
স/আর