মঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাপাহারে এক ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

Paris
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭ ৬:১৫ অপরাহ্ণ

সাপাহার প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহার উপজেলা তিলনা ধন্টিপাড়া গ্রামে এক ভন্ড কবিরাজের হাত থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা তিলনা ধন্টিপাড়া গ্রামে জনাকীর্ণ পরিবেশে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওই গ্রামের মুরুব্বী মো: মোজাহারুল হক গ্রামবাসীর পক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন যে, একই গ্রামের মো: ওসমান গনির পুত্র মিন্টু (৩৩) দির্ঘ দিন ধরে নিজকে একজন বড় মাপের কবিরাজ জাহির করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করায় গ্রামের সচেতন ব্যাক্তিগণ মিন্টু’র নামে গ্রামের মুরুব্বিদের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

সম্প্রতি পাশ্ববর্তী পোরশা উপজেলার গনগতিপুর গ্রামে কবিরাজির নামে মেয়েলী সংক্রান্ত বিষয়ে ধরা পড়লে ঐ গ্রামের লোকজন তাকে বেধে রাখে। পরে তিলনা ইউপি’র পলাশ মেম্বার তাকে সেখান থেকে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনেন।

উল্লেখ্য, মিন্টু একই গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলামের এক মেয়েকে বিবাহের পূর্ব মহুর্তে মোবাইলে উত্যক্ত করে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গ্রামে এক দরবারও বসে। উক্ত দরবারে মিন্টু উপস্থিত না হয়ে গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভাবে শাশিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীর পরামর্শে দিনমজুর নজরুল বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ তাকে ধরে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর ওই প্রতারক ও লম্পট মিন্টু গ্রামবাসীদের উপর রাগান্বিত হয়ে তাদেরকে দেখে নেবে বলে তাকে ও তার পরিবারকে গ্রামবাসী বিচারের নামে এক ঘরে করে রেখেছে এক মিথ্যা ধুয়া তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব দিলে ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন স্থানীয় ভাবে কিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে ডেকে তার কার্যালয়ে বসেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে মিন্টু পরিবারের বক্তব্যে তাদেরকে এক ঘরে করে রাখার কোন প্রমাণ বা নিদর্শন না পাওয়ায় গ্রামবাসীদের সাথে তাদের পরিবারটিকে মিলিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলে মিন্টুর পরিবারটি চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগকে উপেক্ষা করে সেখান থেকে চলে আসে।

বর্তমানে মিন্টুর ওই পরিবারটি গ্রামবাসীদের বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দপ্তরে নানা হয়রানীমূলক অভিযোগ করে আসছে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও তাদের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
স/শ

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর