শুক্রবার , ১৯ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাড়বে ব্রেস্টফিডিং

Paris
আগস্ট ১৯, ২০১৬ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা, পরিবেশ, সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিতাদের মাধ্যমে মায়েদের কাউন্সেলিং করেই সম্ভব ব্রেস্টফিডিং বৃদ্ধি করা।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স হলে প্রটেক্টিং অ্যান্ড প্রমোটিং ব্রেস্টফিডিং: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপারচুনিটিজ টু ইমপ্লিমেন্ট বিএমএস অ্যাক্ট ২০১২ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা এমন মত প্রকাশ করেছেন।

দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ইউএসএইড এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, শিশুর সুস্থ্য-সুন্দর দেহ গঠনে মায়ের দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে শিশুরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পায়।

ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ পরিচালক ডা. এবিএম মোজাহারুল ইসলাম বলেন, মাতৃদুগ্ধের হার বৃদ্ধি করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বাড়াতে পারলে কৌটার দুধের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, গ্রামে এখনো ব্রেস্ট ফিডিংয়ের পরিমান অনেক বেশি। শহরের চাকুরীজীবিদের মধ্যে এটি নেই। জন্ম নিয়ন্ত্রণের মতো ব্রেস্টফিডিংয়ের অনেক প্লান দেওয়া যেতে পারে।

 

বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন ডা. এসকে রায় বলেন, মাতৃদুগ্ধের ফলে শিশু মৃত্যুর হার কমে যায় ২৩শতাংশ পর্যন্ত।

 

ইউএসএইড এর শিখা প্রজেক্টের চিফ  অব পার্টি ডা. শামীম জাহান বলেন, ব্রেস্টফিডিং বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা আরও জোরদার করতে হবে। এতে শতভাগ না হলেও কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব।

এমআই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যার যার অবস্থান থেকে ব্রেস্টফিডিং বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো উচিত। যতদিন সেরেলাক খাবেনা ততদিন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে যাবে।

ইউএসএইড বাংলাদেশের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট ডা. ইফতেখার রশিদ বলেন, ব্রেস্টফিডিং বৃদ্ধি করতে যেসব কার্যক্রম আছে সেগুলো আরও জোরদার করতে হবে।

 

সেভ দ্য চিলড্রেনের এমসিএইচআইপি চিফ অব পার্টি বাবি জর্জ বলেন, কিভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদের আস্থা অর্জন করার ব্যবস্থা করতে হবে।

বুকের দুধ না পেলে মায়েরা ডাক্তারের কাছে গেলে দুএকদিন সময় না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কৌটার দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হেলথ রির্পোটাস ফোরামের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব।

 

স্প্রিংয়ে কমিউনিটি নিউট্রিশন ওর্য়াকার সীমা খাতুন বলেন, বাজারে সহজে দুধ পাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। সহজে দুধ পাওয়ার কারণে অনেকেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেয়।

 

বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, যেসব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় না। সেসব শিশু বেশি রোগাক্রান্ত হয়।

 

এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বস্তিতে শতভাগ ব্রেস্টফিডিং হয়।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেক সন্তানকে বুকের দুধসহ অন্যান্য খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

 
ইউনিসেফের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট ড. মহাসীন আলী বলেন, বুকের দুধ ভালো সবাই জানে। কিন্তু খাওয়ানোর সময় কেউ নেই। কেন খাওয়ানো হয় না তা চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালাতে হবে।

স্যোসাল মার্কেটিং কোম্পানীর প্রতিনিধি তাসলিম উদ্দিন বলেন, যারা বাচ্চা প্রসবের পর মায়েদের সেবা দেন, কথা বলেন তাদের বলা উচিত বুকের দুধ কতটা গুরুত্বপূর্ন।

 

ব্র্যাকের এনএইচপিপি পরিচালক ড. কাউসার আফসানা বলেন, বুকের খাওয়ানোর পরিবেশ তৈরি  ও পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাওয়ার জন্য মায়েদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া ও পরিবারের সহযোগীতা থাকতে হবে।

দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও আলোচনার সঞ্চালক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করার চেয়ে বড় অর্জন আর কিছু হতে পারে না। কালের কণ্ঠ সবসময় ও দেশের অর্জনগুলো  তুলে ধরছে।

ইউএসএইড বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ট্রয় ব্রেকম্যানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সিডব্লিউএফডি অব এনএইচএসডিপির প্রকল্প পরিচালক নারগীস সুলতানা ।

সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়