বৃহস্পতিবার , ১৮ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হন্ডুরাসকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল

Paris
আগস্ট ১৮, ২০১৬ ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একটি নয়, দুটি নয়, একে একে ছয় ছয়টি গোল করে রিও অলিম্পিক ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো স্বাগতিক ব্রাজিল। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে প্রতিপক্ষ হন্ডুরাসকে যেন গোল বন্যায় ভাসিয়ে শিরোপার আর মাত্র এক ধাপ দূরে পা রাখলো সাম্বার দেশ ব্রাজিল।

নেইমারের নেতৃত্বে মাঠে নামা ব্রাজিল শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ভিতরে ঢুকে একের পর এক আক্রমণ শানিত করতে থাকে। ফলে প্রথমার্ধেই তারা তিন তিনটি গোল আদায় করে নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে একই তালে খেলতে থাকে নেইমারের দল। এতে করে দ্বিতীয়ার্ধে এসেও তিনটি গোল আদায় করে নেইমার বাহিনী।

খেলারে একেবারে শেষ সময়ে এসে প্যানাল্টি থেকে গোল আদায় করে ৬-০ পূর্ণ করেন ব্রাজিল তারকা নেইমার।

এর ফলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে আর মাত্র এক ধাপ দূরে পা রাখলো ব্রাজিল।

ঘরের মাটিতে অধরা স্বর্ণ জয়ের মিশনে শুরুর হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভুলে এখন বেশ পরিণত সেলেকাওরা। বুধবার (১৭ আগস্ট) রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয় ম্যাচটি।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ হন্ডুরাসকে খেলা ‍শুরু হতেই ধাক্কা থেকে হয়। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই লিড নেয় ব্রাজিল। সেলেকাও দলপতি নেইমারের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় রজারিও মিকেলের শিষ্যরা।

খেলার ১৩তম মিনিটের মাথায় হন্ডুরাসের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। তবে, সেখান থেকে কোনো সুযোগ হয়নি গোলের। ২৬ মিনিটের মাথায় লুয়ানের অ্যাসিস্ট থেকে ব্রাজিলের লিড দ্বিগুন করেন গ্যাব্রিয়েল। ৩৫ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় আর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সেই গ্যাব্রিয়েলই। এবারে গোল করতে বলের যোগানদাতা হিসেবে ছিনে নেইমার।

প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল। পরে আরো তিনটি গোল আদায় করে ব্রাজিল। এর মধ্যে ৫১ মিনিটে মারকুইনহোস, ৭৯ মিনিটে লুয়ান এবং অতিরিক্ত সময়ে ৯১ মিনিটে নেইমার প্যানাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ নেইমার দুটি ও গ্যাবরিয়েল দুটি করে গোল আদায় করেন।

৫১ মিনিটের মাথায় দলের চতুর্থ গোলটি করেন ব্রাজিল তারকা মারকুইনহোস। নেইমারের কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বল প্রথম প্রচেষ্টায় জালে জড়াতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই হন্ডুরাসের গোলরক্ষক আর এক ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন মারকুইনহোস। ফলে, ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে।

খেলার ৬৩ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি বার্সেলোনার তারকা নেইমারের। হন্ডুরাসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া ফ্রি-কিক কোনোমতে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক লোপেজ। ৭৪ মিনিটে আবারো বাতাসে ভাসিয়ে ফ্রি-কিক নেন নেইমার। ব্রাজিল দলপতির এবারের শটটি লোপেজ রুখতে পারেননি। তবে, একেবারে গোলবার ঘেঁষে বল বাইরে বেরিয়ে যায়।

৭৯ মিনিটে ব্রাজিলের লিড দাঁড়ায় ৫-০ তে। গ্যাব্রিয়েলের বদলি খেলোয়াড় ফিলিপ অ্যান্ডারসনের বাড়িয়ে দেওয়া কোনাকুনি শটে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়ানো লুয়ান বল জালে জড়িয়ে দেন। পরের মিনিটে হন্ডুরাসের বানেগাসের দূরপাল্লার জোরালো শট রুখে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক উইভারটন।

৮৯ মিনিটে নেইমারের দুর্দান্ত একটি শট প্রতিহত হয়। একই মিনিটে লুয়ানকে নিজেদের ডি-বক্সে ফাউল করেন হন্ডুরাসের এক ডিফেন্ডার। ফলে, পেনাল্টি লাভ করে ব্রাজিল। আর দলের অধিনায়ক নেইমার পেনাল্টি শট থেকে দলকে ৬-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। বাকিটুকু সময়ে আর কিছু না ঘটলে এই স্কোরেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে নেইমার বাহিনী।neymar-brasil_BG20160818000117

এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এবার অলিম্পিকের অধরা স্বর্ণ জয়ের এই মিশনে স্বাগতিক হিসেবে ব্রাজিলের সামনে আক্ষেপ ঘোঁচানোর সবচেয়ে বড় সুযোগ থাকছে।

ঘরের মাঠের ইভেন্টের শুরুতে নেইমাররা ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ! প্রথম দুই ম্যাচেই পুঁচকে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরাকের সঙ্গে ড্রয়ের হতাশায় ডোবে পেলের উত্তরসূরিরা। আসর থেকেই স্বাগতিকদের বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই স্বরূপে ফিরে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেন নেইমাররা।

শেষ চারে কলম্বিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই হন্ডুরাসকে মোকাবেলা করছে ব্রাজিল। এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল। কোয়ার্টারের ম্যাচটিতে ৩-২ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল সেলেকাওরা। কিন্তু ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে হেরে তাদের অধরা গোল্ড মেডেল অধরাই থেকে যায়। এবার স্বাগতিক হিসেবে ব্রাজিলের সামনে আক্ষেপ ঘোঁচানোর সবচেয়ে বড় সুযোগই দেখছেন ফুটবলবোদ্ধারা।

স/আর

সর্বশেষ - খেলা