নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কৃত হওয়ার পাঁচ মাস পরেও আবাসিক হলে অবস্থান করছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রকৌশলীকে পেটানোর দায়ে চলতি বছরের ২৯ মার্চ তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময়ানন্দ অভি ও শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-অর-রশীদ। তারা দুজনেই ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তারা দুজনেই শহীদ হবিবুর রহমান হলে অবস্থান করছেন। ওই হলের ২০৭ নম্বর কক্ষে অভি ও ২০৬ নম্বর কক্ষে মামুন থাকেন বলে হল সূত্র জানায়। এছাড়া হলে মাদক সেবন, সিট বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বে উপাচার্যের অপেক্ষামান কক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরকে মারধর করে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, তন্ময়ানন্দ অভি ও মামুন। ঘটনার দু’দিন পর উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বিশেষ ক্ষমতাবলে ওই তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তদন্ত শেষে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এর ওপর ভিত্তি করে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘হল প্রাধ্যক্ষ আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করবো। তারা অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত আমারা কিছুই করতে পারবো না।’
জানতে চাইলে হবিবুর রহমান হলের প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। হল আবাসিক শিক্ষকদের সাথে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
স/আর