সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পাশাপাশি নিজের বয়স ১২ বছর বদলে দ্বৈত ভোটার হওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি প্রকল্পের এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ’ প্রকল্পে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিয়ে ভোগান্তি, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে নিজেদের লোকজন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে মামলা করার এই প্রথম উদ্যোগ নিল ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের আইডিইএ প্রকল্পে ।
এর আগে আগারগাঁওয়ে প্রকল্পের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও মামলা করা হয় নি। কিন্তু এবার মাঠ পর্যায়ে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে ইসি।
এরপর আইডিইএ প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া সম্প্রতি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।
চিঠিতে বলা হয়, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদরের সংগ্রাম প্রামানিক নামে একজন অভিযোগ করেছেন- জনৈক মাসুদ রানার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড সংশোধন করেছেন এবং তিনি নিজে ১২ বছর বয়স পরিবর্তন করে পৃথক এলাকায় দ্বৈত ভোটার হয়েছেন।
“দুটি গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জাকির হোসেন জালিয়াতি ও দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত। তাকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্কও করে দেওয়া হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এক চিঠিতে বলেছেন, কোনো কোনো অফিসে এ সেবা দেওয়ার বিনিময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জড়িতদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
সূত্র: বিডি নিউজ