সিল্কসিটি নিউজডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সব ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নেবে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ডে’ নিহত সন্ত্রাসীরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
লিখিত বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সময় যে সকল জঙ্গি কর্মকাণ্ড ইতিপূর্বে সংঘটিত হয়েছে, এ ঘটনাও তারই অনুবৃত্তিক্রমে ঘটানো হয়েছে। কিছু জঙ্গি সংগঠন তাদের হীন স্বার্থ কায়েমের জন্য শিক্ষিত কোমলমতি তরুণ ও যুবকদের ধর্মের নামে বিপথগামী করছে এবং তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
ব্রিফিংয়ের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল পাঁচটা। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা আগে থেকে সাংবাদিকেরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিত হতে থাকেন। পাঁচটার আগেই দেশি-বিদেশি সাংবাদিকে সভাকক্ষ ভরে যায়। তবে ব্রিফিংয়ের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের পর কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিফিং মানেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
তারপরও ব্রিফিং শেষে একজন সাংবাদিক বলেছিলেন, একজনের পরিচয় নিয়ে একটি দ্বিধা দেখা দিয়েছে, মন্ত্রী যদি তা পরিষ্কার করেন। তবুও মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাশের পরিচয় বিষয়ে কিছু তথ্য দেন। তিনি বলেন, ‘অভিযান কালে মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও ১ জন ভারতীয়। বাকি নয়জনের ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, ২ জন বাংলাদেশি। অপর ৬টি লাশ সন্ত্রাসীদের। সন্ত্রাসীদের ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের অভিভাবকেরা তাদের শনাক্ত করেন। তারা জঙ্গি বলে তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশির মহাপরিদর্শক শহিদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: প্রথম আলো