সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
এবি ব্যাংকের ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম বনানী থানায় এই মামলা দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, পিবিটিএল এর চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, পিবিটিএল এর ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, একই কোম্পানির পরিচালক নাছরিন খান, প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। আসামিদের তালিকায় এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন কাইজার আহমেদ চৌধুরী, এম ফজলুর রহমান, শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, মসিউর রহমান চৌধুরী, এবি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেণ্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা সালমা আক্তার, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন, এবি ব্যাংকের এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, আরশাদ মাহমুদ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, একই ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন বিভাগ) শাহানুর পারভীন চৌধুরী, ব্যাংকের এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান ও রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, এম মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল) কোনও নিয়ম কানুন ছাড়াই এবং অসৎ উদ্দেশে এবি ব্যাংকের চারটি বোর্ড সভায় জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি পায়। এর সঙ্গে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জড়িত ছিল। এই গ্যারান্টি ব্যবহার করে পিবিটিএল আটটি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়ক জামানত দেখিয়ে ঋণ নিয়েছে। উল্লিখিত ঘটনার সার্বিক বিশ্লেষণে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এম মোরশেদ খান অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন করলেও, তা কোনও প্রকার যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দুদকের তদন্তে এবি ব্যাংকের মোট তিনশ তিরাশি কোটি বাইশ লাখ দশ হাজার তিনশ তেষট্টি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন