সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজার সময় উঠে না দাঁড়ানোয় এক তরুণীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল শহরে। ময়ূরাক্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে রামগড়ের বাসিন্দা ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুকে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দিয়ে পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নন্দনে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ময়ূরাক্ষী। বুধবার তিনি জানান, সিনেমা শুরুর আগে জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় তাঁরা উঠে দাঁড়াননি। এরপরই শুরু হয় গোলমাল। কয়েকজন দর্শক উঠে না দাঁড়ানোর কারণ জানতে চান। ময়ূরাক্ষীরা পাল্টা জানান, তাঁদের দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে না। তাই বসে রয়েছেন।
সূত্রের খবর, জাতীয় সংগীত শেষ হতেই ওই দর্শকেরা চিৎকার করতে শুরু করেন। ওই তরুণী বলেন, ‘‘একজন সিনেমা বন্ধ করার দাবি জানাতে থাকেন। আরেকজন বলতে থাকেন, আমরা দেশদ্রোহী। আমাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। সঙ্গে একটানা গালিগালাজ করা হয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার ভয় করছিল। ওরা অতজন, কিন্তু আমরা মাত্র দু’জন। আমি চিৎকার করে বলি, এভাবে দেশপ্রেম দেখানো যায় না। এটি চাপিয়ে দেওয়া জাতীয়তাবাদ। আমি জানতে চাই, কোনও মেয়ে যদি ধর্ষিতা হতেন, তাহলে এঁরা এভাবে হিংস্র হয়ে উঠতেন কি না!’’
প্রত্যক্ষদর্শী তথা যাদবপুরের বাসিন্দা মধুবন্তী মিত্র বলেন, ‘‘আমি ওই মেয়েটির পক্ষে কথা বলায় আমাকেও কুৎসিত গালিগালাজ করা হয়। তবে সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ দ্রুত এসে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।’’ এপিডিআর নেতা রঞ্জিৎ শূর জানান, এটি বিপজ্জনক প্রবণতা। হিংস্রতার মোড়কে উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি শক্তিশালী হচ্ছে।