বুধবার , ১০ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

৪৮০০ হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়নি

Paris
আগস্ট ১০, ২০১৬ ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চলতি হজ কার্যক্রমে অপূরণীয় ৪ হাজার ৮০০ সরকারি কোটা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নেওয়ার অনুমতি পাওয়া গেলেও তা পুরোপুরি কাজে আসছে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজ প্রত্যাশী না পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতির সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এজেন্সিগুলোর পক্ষে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ জনের বিপরীতে টাকা জমা হয়েছে তিন হাজার ২০০ জনের জন্য টাকা জমা হয়েছে। আর হজ প্রত্যাশী পাওয়া গেছে দেড় হাজারেরও কম।

সোমবারের (০৮ আগস্ট) মধ্যে হজ কাযর্ক্রম সম্পন্ন করার কথা কথা ছিল। কিন্তু এ সময়ের একদিন পরেও ৪ হাজার ৮০০ কোটার বিপরীতে টাকা জমা হয়নি।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিল বলেন, তিন হাজার ২০০ জনের জন্য টাকা জমা হয়েছে। যদি আগ্রহী আরো লোকজন পাওয়া যায় তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে এজেন্সিগুলো। কারণ সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বেসরকারিভাবেই হজে পাঠানো যাবে ৪ হাজার ৮০০ হজ প্রত্যাশীকে। এখনও একদিন সময় হাতে আছে।

সচিব আরো জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধনক্রমের বাইরে কাউকেই নেওয়া হবে না। নিবন্ধনও আছে ৪০ হাজারের মতো। তবে এ কম সময়ের মধ্যে যারা হজযাত্রী পাবেন তারাই নিবন্ধনক্রম মেনে পাঠাতে পারবেন।

অন্যদিকে এজেন্সিগুলোর পক্ষে বলা হচ্ছে, ৩ হাজার ২০০ জনের বিপরীতে টাকা জমা দেওয়া হলেও হজ প্রত্যাশী পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০ জনের মতো। যদি হজ প্রত্যাশী না পাওয়া যায়, তাহলে মাত্র এ সংখ্যকই পাঠানো সম্ভব হবে। তার বেশি সম্ভব নয়। কারণ এজেন্সিগুলো তাদের হজ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

হজ এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নিবন্ধনক্রম অনুযায়ী যেসব এজেন্সি টাকা জমা দিয়েছে তারা হজ প্রত্যাশী পাচ্ছে না। আর কোটা পাওয়া যেসব এজেন্সি তাদের হজ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে, নিবন্ধনের মাধ্যমে হজযাত্রী পাঠাবে টাকা জমা দেওয়া এজেন্সিগুলো। তবে তা নিয়েও কোনো জটিলতা রয়েছে কিনা তা ভাবছে এজেন্সিগুলো। সময় স্বল্পতার কারণেই সফল হওয়া যাবে না বলেই জানাচ্ছে এজেন্সিগুলো।

সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতির পর ধর্ম মন্ত্রণালয় ৭ ও ৮ আগস্টের মধ্যে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করারও তাগাদা দেন।

জাতীয় ওমরা ও হজনীতি-২০১৬ অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনের তালিকা অনুযায়ী (৮৮২৩৭ থেকে ৯৩২৩৬ এর মধ্যে) সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করা ৪৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা বলা হয়।

এ বছর (২০১৬ সাল) হজে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের। এর মধ্যে সরকারি কোটা ১০ হাজার। নির্ধারিত সরকারি এ কোটার মধ্যে নিবন্ধন হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনের। বাকি ছিল আরো ৪ হাজার ৮০০ হজ প্রত্যাশীর কোটা।

এ ৪ হাজার ৮০০ সরকারি কোটা বেসরকারি ব্যবস্থপনায় পাঠাতে সৌদি কর্তৃপক্ষ শেষ সময়ে এসে অনুমতি দেয়।

এরপর মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে জানায়, প্রাক নিবন্ধিত হজ প্রত্যাশীদের সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৪৮৩টি হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে যেগুলোর মাধ্যমে এখনও হজ নিবন্ধন ও পাঠানো সম্ভব তাদের সঙ্গে হজ কযর্ক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।

০৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে বাংলাদেশের হজ প্রত্যাশীদের যাত্রা শুরু হয়েছে।

সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়