সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
মেসিকে আটকাতেই হবে- এমন কথাই ম্যাচের আগে বলেছিলেন ওসাসুনা কোচ। প্রয়োজনে হাতকড়াটাও লাগিয়ে মেসি বাধা টপকাতে চেয়েছিল তার দল! অবশ্য সেটা ভাবাটাও ছিল স্বাভাবিক। কারণ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই ম্যাচে হারলেই অবনমন প্রায় নিশ্চিত হবে লা লিগা দলটির। সেই ম্যাচেই ৭-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।
ক্লাসিকো জেতায় ৫টি পরিবর্তন এনেছিলেন লুই এনরিকে। নিষেধাজ্ঞায় এমনিতে বাদ নেইমার। তার ওপর ছিলেন না রবার্তো, সুয়ারেস, ইনিয়েস্তার মতো তারকারা। তার পরেও মুহুর্মুহ আক্রমণে ওসাসুনাকে কোনঠাসা করে দেয় বার্সা। এর প্রমাণ মেলে ১২ মিনিটটেই। ফুয়াস্তোর পাস মনদ্রাগনের কাছে না পৌঁছে যায় মেসির কাছে। তাতেই ওসাসুনা গোলরক্ষক সিরিগুকে বোকা বানিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি। ৩০ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুন করেন গোমেস। এই অর্ধে আর বেশি উত্তাপ ছড়ায়নি।
তবে সব উত্তাপ জমিয়ে রাখে দ্বিতীয়ার্ধ। খেলার শুরুতেই ৪৮ মিনিটে এক গোল শোধ করে ফেলে ওসাসুনা। মরালেসের বাঁকানো শটে কিছুই করার ছিল না বার্সা গোলরক্ষক টের টেগেনের। এই গোলের পাল্টা জবাব দেয় বার্সাও। ৫৭, ৬১ মিনিটে দুই গোল করে ওসাসুনাকে কাঁপিয়ে দেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। প্রথমটি গোমেস করলেও পরেরটি করেন মেসি। মেসির দ্বিতীয় গোলটিও ছিল দর্শনীয়। বাঁকানো শটে ওসাসুনা গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
এই গোলের পরই মাঠ ছাড়েন বার্সা তারকা। তার জায়গায় মাঠে আসেন কাস্তিলো। কয়েক মিনিট বল দেওয়া নেওয়ার পর আবারও স্কোর লাইন সমৃদ্ধ করে এনরিকের শিষ্যরা। ৬৪ মিনিটে আলকাসের ও ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সার হয়ে গোল করেন মাসচেরানো। ক্লাবের হয়ে ৩১৯টি ম্যাচ খেললেও এটিই ছিল মাসচেরানোর প্রথম গোল ছিল! আর্জেন্টাইন এই তারকা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসাধারণ মুহূর্তই অর্জন করলেন স্পট কিক থেকে!
শেষ দিকে ৮৬ মিনিটে ফের ওসাসুনার জালে বল পাঠান আলকাসের। ডেনিস সুয়ারেসের ক্রস থেকে ওসাসুনা গোলরক্ষকে বোকা বানান তিনি।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৩২ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে পরেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন