উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র পরীক্ষা চীনের

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ‘ভূমি থেকে উৎক্ষেপনযোগ্য মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী’ অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে কোনো দেশে হামলার উদ্দেশে নয়, শত্রু দেশ থেকে উড়ে আসা মিসাইল আটকানোর জন্যই এই অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে বলে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

চীন আগেও শত্রু দেশ থেকে উড়ে আসা মিসাইল আটকানোর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও সবশেষ ২০২১ সালে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছিল চীন। ২০১০ সাল থেকেই চীন এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তত্ত্বাবধানে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে চীন মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারে এমন সব ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

চীন, তার মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে বারবার দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমের মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। চীন যুক্তি দিয়েছিল যে এসব সরঞ্জামগুলোর শক্তিশালী রাডার তাদের অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। চীন ও রাশিয়া সিমুলেটেড মিসাইল বিরোধী মহড়াও করেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায়ল অথবা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের কালেভদ্রে দেওয়া ব্রিফিং ছাড়া চীন নিজের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে খুব কম তথ্যই প্রচার করে। সূত্র : যুগান্তর

এএইচ/এস