নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাত্তরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, পশ্চিমভাগ ও গোটিয়া গ্রামে আদিবাসী ও বাঙালিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর অপরাধে আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুদ্ধপরাধ তদন্তে গঠিত ট্রাইব্যুনালের একটি তদন্তকারীকারী দল বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সার্কিট হাউসে ওই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
এসময় নিহতের স্বজনরা মুসা রাজাকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যুদ্ধাপরাধ তদন্ত সংস্থার অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম জানান, এই অভিযোগ যুদ্ধাপরাধ ধারায় মামলা রুজু করা যাবে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে চুড়ান্ত রিপোর্টে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা হিসেবে তা আদালতে উঠবে। বিষয়টি গোপনীয় বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
তদন্ত সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, একাত্তর সালের ১৯ এপ্রিল ৩০-৪০ জন হানাদার বাহিনী নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যায় মুসা রাজাকার। এরপর কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২০ জনকে হত্যা করা হয়। তার নির্দেশে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।
এসব হত্যাকান্ডের বর্ননা দেন পশ্চিমভাগ গ্রামের বাসিন্দা ও মুসার হাতে নিহত শহীদ আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী রাফিয়া বেওয়া, শহীদ আনেস খলিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেওয়া, শহীদ আদিবাসী লাডে হেমব্রমের ছেলে শিশুলাল, গোটিয়া গ্রামের শহীদ জাফরের ছেলে মুনসুর রহমান, শহীদ চান্দুর ছেলে গেদু, শহীদ কানু হাজদার নাতি বুধরাই সাধু, শহীদ রহমত শাহ’র ছেলে আজিজুল হক।
এছাড়াও তেলিপাড়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী, নন্দন আব্দুল কাদের, বনাজিপাড়ার সন্তোষ কুমার, সাতবাড়িয়ার নিরেন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসা রাজাকারের নৃশংসতার বর্ননা দেন।
স/আর