অভিমানী পরীমনি এবার লিখলেন, ‘ফাক মি মোর’

মাদক মামলায় বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমনির হাতে লিখা তিনটি শব্দ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পরীমনির পরবর্তী হাজিরা তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১০ অক্টোবর। বুধবার সকালে ভিড় ঠেলে আদালতে যেতে হয়েছে পরীমনিকে। হাজিরা দিয়ে উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন তিনি।

এ সময় তার ডান হাতে মেহেদী দিয়ে নতুন লেখা দেখা গেছে। পরীমনি লিখেছেন, ‘ফাক (মিডল ফিংগার সাইন) মি মোর’। যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বোঝাই যাচ্ছে, পরীমনি বেশ ক্ষুব্ধ। তাই তিনি চিহ্নটি ব্যবহার করেছেন। সাধারণত রাগ, ঘৃণা, অপমান বা আক্রমণাত্মক বোঝাতে চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়।

হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে নিজের ফেসবুকে একটি সেলফি পোস্ট করেছেন পরীমনি। তাতে তার হাতের লেখাটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ক্যাপশনে পরীমনি লিখেছেন, ‘একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেই।’ এ প্রতিবেদন করা পর্যন্ত পরীমনির এ ছবিটিতে ৪১০ জনেরও বেশি শেয়ার করেছেন।

ঠিক কী কারণে এ কথাটি লিখেছেন পরীমনি তা জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে দেশীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এ নায়িকা বলেছেন, ‘কী লিখেছি আপনারা বুঝে নেন। আর এর মাধ্যমে আমি বোঝাতে চাচ্ছি, শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চাই। এতো সহজে হাল ছাড়ার মতো লোক নই আমি। যাই হোক না কেন এখানেই আমাকে দমাতে পারবে না। মনে করুন, সেই সব প্রতিবাদী মনোভাব আজকের সিম্বলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছি। এটা ছিল মেটাফোর।’

এর আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার সময় পরীমনি তার ডান হাতের তালুতে লিখেছিলেন, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ।’ যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।


এদিকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভিড় ঠেলে ১২ নম্বর আদালতে প্রবেশ করেন পরীমনি। তার আইনজীবীরা সেখানে উপস্থিত না থাকায় বের হয়ে আসেন পরীমনি। আদালত থেকে বের হয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করেন পরীমনি। পরে তার সঙ্গে দেখা করেন আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
পরে বেলা ১২টার দিকে আদালতে হাজিরা দেন পরীমনি। এ সময় তার দুইটি গাড়ি, ল্যাপটপ ও মোবাইল চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর এগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ ব্যাপারে কোনো সাড়া দেননি।

এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় এ নায়িকার বাসা থেকে। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন পরীমনি। পরে ৫ আগস্ট তার নামে রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।

তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে জামিন হয় পরীমনির। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত পরীমনিকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা হাকিম কে এম ইমরুল কায়েশ।