জাপানে মানুষ কম ঘরবাড়ি বেশি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাপানে মানুষের চেয়ে বাসযোগ্য ঘরবাড়ির সংখ্যাই বেশি। এজন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাপান সরকার। অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।

বিনামূল্যে তাদের দেয়া হচ্ছে বাড়ি। পুরনো বাড়িগুলোকে বানানো হচ্ছে জাদুঘর বা রেস্তোরাঁ। এসব পরিকল্পনার একটাই কারণ, দেশটি এক ব্যতিক্রমী সমস্যায় ভুগছে। তাদের জনসংখ্যার চেয়ে বাড়ির পরিমাণ বেশি।

সিএনএন জানায়, জাপানের তরুণরা শহুরে চাকরির জন্য গ্রামাঞ্চল ছেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশটির গ্রামাঞ্চলের বাড়িগুলো ‘ভুতুড়ে’ বাড়ি হয়ে উঠছে, যা আকিয়া নামে পরিচিত। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ৯০০ শহর বিলীন হবে। এর মধ্যে ওকুতামা একটি। ১৯৬০ এর দশকে ওকুতামায় ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ ছিল। এখানে কাঠের ব্যবসা ছিল বেশ লাভজনক। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে মুক্ত আমদানি ব্যবস্থা ও কাঠের চাহিদা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ তরুণ শহরের দিকে চলে যায়। বর্তমানে শহরটিতে ৫ হাজার ২০০ মানুষের বাস।

২০১৪ সালে দেশটি ‘আকিয়া ব্যাংক’ বা খালি বাড়ি স্কিম চালু করে। জাপানে বিনামূল্যে বাড়ি পেতে হলে কোনো ব্যক্তির বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে কিংবা ১৮ বছরের নিচের সন্তানসহ দম্পতি হতে হবে। অথবা ৫০ বছরের নিচের একজন সঙ্গী থাকতে হবে। আকিয়া আবেদনকারীদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, তারা এই শহরেই স্থায়ীভাবে থাকবেন। ২০১৭ সালে নতুন আরেকটি উদ্যোগ চালু হয় ওকুতামায়। ১০০ বছরের পুরনো বাড়িগুলোকে রাস্তার পাশের ক্যাফে ও জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এসব জাদুঘরে প্রাচীন কারুশিল্পের জিনিসসহ নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।

অভিবাসীদের দিয়ে জাপানে জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টাও বিফলে যেতে পারে। কারণ, দেশটির কঠোর পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ। সেখানে ‘উচি-সোতো’ বলে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, যার মাধ্যমে কাছের আর দূরের মানুষকে দুটো আলাদা দলে ভাগ করে জাপানিরা।

এছাড়া জাপানে নতুন শিশুর জন্মহার বর্তমানে যথেষ্ট কম। দেশটির অধিকাংশ মানুষ বার্ধক্যের পথে। ২০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। যুগান্তর