১৯ ঘণ্টার বিরতিহীন ফ্লাইটে বিমানবালারা ঘুমান যেখানে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  পাঁচ বছরের লম্বা বিরতির পর বিশ্বের সবচেয়ে দূরপাল্লার বাণিজ্যিক ফ্লাইট ফিরে এসেছে। গত মাসে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বিরতিহীন চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধ্যে যাত্রীসেবা পুনরায় শুরু করেছে। এটি হলো টানা ১৯ ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইলের পাড়ি দেওয়ার বিরতিহীন ভ্রমণ।

২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এয়ারবাস এ৩৪০-৫০০ আকাশযানের মাধ্যমে এই রুটে ফ্লাইট চালাতো সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। কিন্তু এই বিমান চালাতে প্রচুর জ্বালানি খরচ হতো। এ কারণে বিমানের সব আসন বিজনেস ক্লাসে রূপান্তর করা হয়। তবুও ওই রুট চালানো হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয় এটি।

২০১৮ সালে এয়ারবাসের নতুন আকাশযান এ৩৫০-৯০০ ইউএলআর (আলট্রা-লং-রেঞ্জ) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসকে বিরতিহীন সবচেয়ে দূরের রুটে ফ্লাইট শুরু করতে উৎসাহ জুগিয়েছে। দুই ইঞ্জিনচালিত এই বিমানে ১৬১ জন যাত্রী বসতে পারে। এর মধ্যে ৬৭টি বিজনেস ক্লাস ও ৯৪টি প্রিমিয়ার ইকোনমি আসন। এর ট্যাঙ্কে ৬ হাজার ৩০০ গ্যালন জ্বালানি রাখা যায়। ফলে ৯ হাজার ৩০০ মাইল থেকে দূরত্বটা বাড়িয়ে ১১ হাজার ১০০ মাইলে নেওয়া সম্ভব।

লম্বা যাত্রার হওয়ায় ক্লান্তিকরও বটে এই ফ্লাইট। তাই কেবিন ক্রু সদস্যদের জন্য দায়িত্ব পালন বেশ চ্যালেঞ্জের। তবে এ৩৫০-এর মতো বিমানে বিমানবালাসহ ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টদের বিশ্রামের জন্য পৃথক কামরা আছে। সেখানেই মূলত ঘুমিয়ে থাকেন তারা। এগুলো যাত্রীদের নাগালের বাইরে। দীর্ঘ দূরত্বে চলাচল করা এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ ইউএলআরের এসব ঘর দেখে নিন একঝলকে। * বোর্ডিং ফটকে দাঁড়িয়ে এ৩৫০-৯০০ ইউএলআর দেখতে এমন।
* বিমানটির কেবিনে প্রিমিয়াম-ইকোনমি আসন।
* পেছনের সারির যাত্রীদের কেবিন থেকে দূরে কেবিন ক্রুদের বিশ্রাম নেওয়ার কামরা।
* সরু পথ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে বিমানবালাদের কামরায় ঢুকতে হয়।
* শোবার পাটাতনে যাওয়ার আগে পোশাক ঝুলিয়ে রাখার জায়গা মেলে।
* পাঁচটি শোবার স্থান ও একটি ছোট করিডোর। 
* করিডোর ছাড়াও আছে বিছানা ও কম্বল রাখার জায়গা। 
* কামরার অন্য পাশে শোবার আরও তিনটি পাটাতন।
* সব মিলিয়ে একই সময়ে আটজন ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট বিশ্রাম নিতে পারেন এই কক্ষে।
* এই কামরা শুধু ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টদের জন্য। পাইলটদের বিশ্রামের জন্য বিমানের সামনের অংশে আলাদা ঘর আছে।
* প্রতিটি শোবার পাটাতনের একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব ও পর্দা আছে। ভেতরে বই পড়ার জন্য আলো ও বিনোদনের মাধ্যম যুক্ত রয়েছে।
* কানটাস বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের বিমানবালাদের বিশ্রামের কামরাও এয়ারবাস এ৩৫০ বিমানের মতোই।