বৃষ্টির রাতে বয় ফ্রেন্ড মানেই রোমান্টিক নয়, ঘটতে পারে যা কিছু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আপনি কীভাবে খাবেন, কীভাবে হাঁটবেন, বন্ধুর দিকে কেমন ভাবে তাকাবেন, এসব কিছু ঠিক করে কে? এমনকী, আপনার মাথার ভিতর ঢুকে প্রতি মুহূর্তে কে বলে যায়— দেখার চোখ, ভাবনার ছক বদলে নিতে হবে ঠিক এইভাবে? বড় হয়ে উঠতে উঠতে একটা সময় পর্যন্ত আপনি এ সবকিছুই শেখেন বাবা-মা-আত্মীয়-বন্ধু-শিক্ষকের থেকে। এর পরের পর্যায়টাই সবচেয়ে মজার আর সেই সময়েই বদলে যায় আপনার ‘যাপন’।

তখন আপনি আপনার মর্জি কা মালিক। বিজ্ঞাপন, রুপোলি পর্দা, অফিসের আড্ডা, ক্লাব, সার্চ ইঞ্জিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া— প্রিয় সুখাদ্যের মতোই টপাটপ তুলে নিতে থাকেন ট্রেন্ডস আর পারসেপশনস। আর সেই রোগেই ঘোড়া মরে, বার বার। অভিজিৎ চৌধুরীর স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘মিথ্যে’ সেই রোগের কথা বলে। শুরু থেকেই এই ছবি একটা গা ছমছম ইঙ্গিত দেয়। বৃষ্টির সন্ধ্যায় বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে একলা ডেটে যাওয়ার আগে, নায়িকাকে সাবধান করে তার বান্ধবী।

কিন্তু সে কথা শোনে না। কারণ হলিউড রমকম বলে, এমনটাই আসলে রোম্যান্টিক। কিন্তু সব ছবি যে রোম্যান্টিক নয়, কিছু ছবি গা ছমছমে, আর কিছু কিছু ‘মারাত্মক’। ‘মিথ্যে’ এই দুই এক্সট্রিমের ঠিক মাঝামাঝি বিচরণ করে। সৌমন বোসের ক্ষুরধার অভিনয় আর পায়েল দেবের স্বতঃস্ফূর্ত সারল্য— দর্শকের চোখ ও মন আটকে রাখে পর্দায়, সরতে দেয় না।

এই ছবি যতটা গা ছমছমে, ততটাই বিবমিষা জাগিয়ে তোলে। ছবির রং থেকে আর্ট ডিরেকশন, চিত্রনাট্যের বাঁক একটু একটু করে ঘুলিয়ে তোলে গা। কারণ এ ছবির শেষে রয়েছে এমন একটা ‘মিথ্যে’, যা নিমেষে কাটিয়ে দেবে সমস্ত বিভ্রম, যা এতক্ষণ ধরে অতি যত্নে তৈরি করা। তার পর অনুভূতিশীল মানুষকে ফিরতে হবে সেই প্রশ্নে, যা থেকে শুরু হয় এই লেখা।

কে ঠিক করে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা? আর কীভাবেই বা আপনি চিনে নেবেন সত্য-মিথ্যাকে?

ছবির মুক্তি আর কিছুদিনের মধ্যেই।