৭ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে যেভাবে এলো সাফল্য

চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে পাল্লেকেলেতে শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিই এতদিন ছিল তাইজুল ইসলামের শেষ টেস্ট ম্যাচ। তিনি দেশের ক্রিকেটে ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পরিচিত। তাই যোগ্যতা থাকলেও অন্য দুই ফরম্যাটে তাকে নিয়ে ভাবেন না নির্বাচকেরা। এমনকী স্কোয়াডে নিলেও একাদশে রাখা হয় না। তাইজুলকে চাতক পাখির মতো পরবর্তী টেস্টের অপেক্ষা করতে হয়। চট্টগ্রাম টেস্টেই যেমন তাইজুল মাঠে নামলেন ৭ মাস পর!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ৯০০ কোটির ডিপোজিট থাকলেও জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অদূর ভবিষ্যতে এমন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। করোনার কারণে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির লিগগুলোও অনিয়মিত। তাইজুল তাহলে নিজেকে কীভাবে ফিট রাখেন? সর্বশেষ জাতীয় লিগে ৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। আসল পারফর্মেন্সটা যেন আজকের জন্যই তিনি জমিয়ে রেখেছিলেন।

৭ উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস ধসিয়ে দেওয়া তাইজুল আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বললেন দীর্ঘদিন পরপর টেস্ট খেলা নিয়ে আক্ষেপের কথা। তার ভাষায়, ‘আমাদের যখন খেলি, তখন প্রসেসিংটা একই রাখতে হয়। যত ভালো প্রসেসিংয়ে থাকব, ততটাই ভালো পারফর্মেন্স হয়। জাতীয় লিগ বা অন্যখানে যেভাবেই খেলি না কেন, নিজের প্রসেসটা ঠিক রাখার চেষ্টা করি। এটা ঠিক যে, আমরা অনেকদিন পরপর টেস্ট খেলি। এজন্য একটু ইয়ে হয়…। আমরা যদি আরেকটু বেশি টেস্ট খেলতে পারতাম, তাহলে ভালো করতে পারতাম। আমাদের এই ফ্লো সবসময় থাকত।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ