৭ নভেম্বর মূলত সৈনিক হত্যা দিবস: শেখ হাসিনা

লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্য (ইউকে) আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ নভেম্বরকে মূলত সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে তুলে ধরেছেন।

৭ নভেম্বরের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আজ ৭ নভেম্বর আপনাদের সাথে কথা বলছি, এই দিনটি বাংলাদেশের জন্য কলংকের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর, খন্দকার মোশতাক জিয়া মিলে অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে, কিন্ত মোশতাক তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। জিয়া তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই ক্ষমতা দখল করে নেয়। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়। খুনীদের পুরস্কৃত করে, মন্ত্রী বানায়, একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে এরশাদ, খালেদা জিয়া।

kalerkantho

জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং ১৯৭৫ সালের পর ১৯বার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবার অভ্যুত্থানকালে, জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ও সৈন্যকে নির্মমভাবে কোর্ট মার্শালের নামে ফাঁসিতে ঝুলায়। এবং এদের মধ্যে বড় একটা অংশ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর হচ্ছে সৈনিক হত্যা দিবস জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের সাজা হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ভবিষ্যতে দলটির অস্তিত্ব টিকে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অস্ত্র চোরাচালান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এতিমদের অর্থ আত্মসাত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল টিকে থাকবে কীভাবে?

লন্ডনে তাঁর বাসস্থান থেকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির পাশাপাশি হত্যা মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘কেবলমাত্র আমাদেরই (সরকার) না, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলেদের এই দুর্নীতির চিত্র আমেরিকার এফবিআই’র করা তদন্তে উঠে এসেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা (সরকার) বিদেশ থেকে তাদের পাচারকৃত কিছু অর্থ দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের সূবর্ণ জয়ন্তীতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সভায়  বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন, অধ্যাপক আবুল হাশেম, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক লালা মিয়া, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ আহমেদ চৌধুরী,আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, যুবলীগ সভাপতিফখরুল ইসলাম মধু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সভাপতি ব্যারিস্টার এনামুল হক।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ