৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতবাসীকে যে বার্তা দিলেন মোদি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

আজ ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। সে হিসেবে এ বছর ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে ভারতবাসী।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সোমবার তিনি বলেন, “আমরা পরাধীনতা থেকে মুক্তি চাই। মনের ভিতর দূরদূরান্তে, সমুদ্রের গভীরেও পরাধীনতার ভাবনা যেন না থাকে।”

মোদি বলেন, “বাকি দুনিয়া কতদিন আমাদের সার্টিফিকেট দেবে? দুনিয়ার সার্টিফিকেটের উপর নির্ভর করে আমরা কতদিন কাটাব? আমরা কি নিজেদের মানদণ্ড তৈরি করব না? ১৩০ কোটির দেশ কি নিজেদের মানদণ্ড তৈরির জন্য কিছু করতে পারবে না? কোনও পরিস্থিতিতে অন্যদের অনুসরণ করার দরকার নেই। আমরা যেমন, সেরকমই থাকব। শুধু নিজেদের ক্ষমতাবলের উপর দাঁড়িয়ে থাকব আমরা। আমরা পরাধীনতা থেকে মুক্তি চাই। মনের ভিতর দূরদূরান্তে, সমুদ্রের গভীরেও পরাধীনতার ভাবনা যেন না থাকে।”

তিনি আরও বলেন, ভারত গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি। ভারত প্রমাণ করেছে যে ভারতের অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে। ৭৫ বছরের যাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

মোদি বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেছি। ১৪ অগস্ট আমরা দেশভাগের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করেছি। আজ দেশের সেই সমস্ত নাগরিকদের স্মরণ করার দিন, যারা এই ৭৫ বছরে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবদান রেখেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আশা, আকাঙ্ক্ষার মধ্যে আমরা সকলের চেষ্টায় এখানে পৌঁছেছি। ২০১৪ সালে ভারতীয় নাগরিকরা যখন আমায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তখন আমি স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলাম, যিনি লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর গুণগান করার সুযোগ পেয়েছিলেন।”

মোদি বলেন, “আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি, তখন অনেক আমাদের উন্নয়নের গতিপথ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারা জানতেন না যে এদেশের মানুষের মধ্যে আলাদা কিছু আছে। তারা জানতেন না যে ভারতের মাটি বিশেষ কিছু।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ৫টি বড় সংকল্প নিয়ে হাঁটতে হবে। এই সংকল্পগুলোর মধ্যে একটি হবে উন্নত ভারত। দ্বিতীয়ত, দাসত্বের কোনও অংশ যেন দেশের কোনও কোণে না থাকে। এখন আমাদের ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে যাতে আমরা দাসত্বের চিন্তাভাবনা ভুলে এগোতে পারি। এই দাসত্বের চিন্তাভাবনা আমাদের শক্ত করে ধরে রেখেছে। দাসত্বের ক্ষুদ্রতম বিষয়গুলো থেকেও মুক্তি পেতে হবে আমাদের।”

 

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন