জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুটি ওয়ানডেই সম্বল ছিল নুরুল হাসান সোহানের। নেলসনে অনুষ্ঠিত ওই দুটি ওয়ানডেতে সোহান যথাক্রমে ২৪ এবং ৪৪ রান করেছিলেন। নতুন হিসেবে খারাপ বলার সুযোগ নেই। কিন্তু তার পর থেকে অজানা কারণে ওয়ানডেতে তার সুযোগ হচ্ছিল না। আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েই দলকে জেতালেন সোহান। জিম্বাবুয়ে ধোলাই হলো ৩-০ ব্যবধানে।
সোহান যখন ব্যাট হাতে নামলেন, তার আগে পরপর দুই বলে আউট হয়ে গেছেন সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল এবং বিপদের নির্ভরতা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলকে জেতানোর পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে তরুণদের ওপর। জয়ের জন্য প্রয়োজন তখনো ৯৫ রান। উইকেটে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন ধীরগতির ব্যাটিং করছিলেন। প্রায় অর্ধেক স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে তিনি ৩০ রানে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে উইকেটে এসেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে মিঠুনের নষ্ট করা বলগুলো পুষিয়ে দেন সোহান।
আলগা শট খেলেননি। বাজে বল পেলেই সীমানাছাড়া করেছেন। মিঠুন আউট হওয়ার পর তার সঙ্গী হন আরেক তরুণ আফিফ হোসেন। এই অল-রাউন্ডার এমনিতেই বড় শট খেলতে পছন্দ করেন। সোহানের সঙ্গে তার জমে যায়। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটিতেই বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে বাংলাদেশকে জেতান আফিফ। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম বিদেশের মাটিতে কোনো দলকে ধোলাই করল বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগে টাইগাররা পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট পেল।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ