৪ হত্যার নেপথ্যে ধর্ষণ, অভিযোগ ভারতের এক পরিবারের

ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রায়াগরাজে একই পরিবারের চারজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। চারজনের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১০ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। ওই কিশোরীকে হত্যার  আগে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ‍উঠেছে। আর এসব অভিযোগের তীর প্রতিবেশী এক পরিবারের দিকে।

গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেছে পুলিশ।  তাদের মধ্যে আটজনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায়াগরাজ পুলিশ বলছে, কয়েকজন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় কংগ্রেস নেত্রী ও উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে, পরিবারের পুরুষ সদস্য ঝাড়খন্ডে কাজ করে, বাকি সবাই নারী। তারা জানে না কি করবে, পুলিশও তাদের সাহায্য করেনি।’

ঘটনায় নিহত ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তার ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী এবং তাদের সন্তানের মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, কোন ধারালো কুড়াল দিয়ে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের শরীরে এর চিহ্ন রয়েছে। নিহত কিশোরীর মরদেহ ঘরের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে এবং বাকি তিনজনের বাড়ির উঠানে।

নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে উচ্চ বর্ণের এক পরিবার নিম্ন বর্ণের ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মারধর করা হয় এবং সপ্তাহখানেক পর এফআইআর দায়ের করা হয়।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ