সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারো নেতৃত্বে হয়নি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি।
আজ রবিবার ৩ দফা দাবিতে পদযাত্রা শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সোহেল তাজ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা।
এদিকে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে তিন দফা দাবিতে পদযাত্রা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ)। রবিবার এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি।
অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ও নেতৃত্ব ছিল গুরম্নত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় ৪ নেতার অবদান ও আত্মত্যাগ বই-পুসত্মকে তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে ২৪ এর আন্দোলনও তুলে ধরতে হবে।
আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে সোহেল তাজ বলেন, ‘যে দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, সে দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, একক কারো নেতৃত্বে হয়নি। অথচ দলটি মুক্তিযুদ্ধকে নিজের পক্ষে ইতিহাস বানিয়ে নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি আওয়ামীগের আমলে।’
তিনি বলেন, ‘২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
জেল হত্যা দিবসের ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলামু আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
সোহেল তাজের তিন দাবি হলো- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গুরুত্বের সঙ্গে সর্বসত্মরের পাঠ্যপুসত্মকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ