৩১ বছর পর শুরু হলো সগিরা মোর্শেদ হত্যার বিচার

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় নিহতের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো এ মামলার বিচার কাজ।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত চার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পড়ে শুনানো হয়। এরপর তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেন।

এর আগে গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক মামলাটির পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডাক্তার হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা। গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনায় হতভম্ব রিকশাচালক প্রথমে দুর্বৃত্তকারিদের ধাওয়া দেন। পরে রমনা থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ঘটনাটি ছিনতাই বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যার পেছনে ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।