৩০ বছরের কম বয়সীদের মডার্না ভ্যাকসিনে ফ্রান্সের ‘না’!

ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ৩০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মডার্নার স্পাইকভ্যাস্ক টিকা দিতে অনুৎসাহিত করেছে। পরিবর্তে ফাইজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলছে, স্পাইকভ্যাক্স হৃৎপিণ্ড-সম্পর্কিত সমস্যার তুলনামূলক বেশি ঝুঁকি বহন করে।

ফরাসি স্বাস্থ্য খাতের উপদেষ্টা দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল অথরিটি ফর হার্টস (এইচএএস) মনে করে, এটি ‘খুব বিরল’ ঝুঁকি যা  মায়োকার্ডাইটিস নামের একটি হৃদরোগের সাথে যুক্ত। মডার্না ভ্যাকসিনের সাম্প্রতিক তথ্য এবং সোমবার প্রকাশিত একটি ফরাসি গবেষণায় এমনটি জানা গেছে।

এইচএএস বলছে, ৩০ বছরের কম বয়সীদের জন্য মডার্নার টিকা গ্রহণ ফাইজারের টিকা নেওয়ার চেয়ে পাঁচগুন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

উল্লেখ্য, কানাডা, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের নিয়ন্ত্রকদের হৃদরোগসম্পর্কিত সুরক্ষা উদ্বেগের কারণে স্পাইকভ্যাক্সের প্রতি আরো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেওয়ার পর প্যারিসে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক ইএমএ গত মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অন্তত ছয় মাস পরে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত বয়সের জন্য মডার্নার বুস্টার ভ্যাকসিন অনুমোদন করে। এ বছরের শুরুর দিকে ইএমএ বলেছিল, এটি খুব বিরল প্রদাহজনিত হার্টের অবস্থা এবং ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের মধ্যে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে। ইএমএ’র মতে, কভিড-১৯ প্রতিরোধে সুবিধা ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ফ্রান্সের এইচএএস বলছে, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ‘বুস্টার’ ডোজ হিসাবে ভ্যাকসিনের ব্যবহার প্রযোজ্য হবে। যতক্ষণ না এ বিষয়ে আরো বৈজ্ঞানিক ফলাফল জানা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ হবে। ৩০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে মডার্না ভ্যাকসিন ব্যবহারের সুপারিশ করেছে- কার্যকারিতা কিছুটা উন্নত মর্মে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ