২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে তুরস্ক

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রবিবারের ভোটে কোনো প্রার্থী সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর ২৮ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তুরস্কে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেসরকারি ফলাফলের উদ্ধৃতি দিয়ে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেছেন, প্রথম রাউন্ডের ভোট শেষে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এগিয়ে আছেন।

ইয়েনার জানান, রবিবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৮৮.৯২ শতাংশ। সেই সঙ্গে বিদেশে তুর্কি নাগরিকদের ভোটদানের হার ৫২.৬৯ শতাংশ। বিদেশে ৩৫ হাজার ৮৭৪টি ব্যালটের জন্য ডেটা এন্ট্রি অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোতে মুখোমুখি হবেন পিপলস অ্যালায়েন্সের যৌথ প্রার্থী এরদোয়ান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোলু, যিনি প্রধান বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান ও ছয় দলের বিরোধী জোট নেশন অ্যালায়েন্সের যৌথ প্রার্থী। প্রথম রাউন্ডে এরদোয়ান ৪৯.৫১ শতাংশ কিলিচদারোলু ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে ইয়েনার জানান।

এ ছাড়াও এটিএ জোটের সিনান ওগান ৫.১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদের চতুর্থ প্রার্থী মুহাররেম ইনসে পেয়েছেন ০.৪৪ শতাংশ ভোট। তবে সিনান ব্যালট ছাপানোর পর গত সপ্তাহের শেষের দিকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছিলেন।

লাখ লাখ ভোটার রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ৬০০ আসনের সংসদের সদস্যদের নির্বাচন করতে ভোটে দিয়েছেন। ৬৪.১ মিলিয়নেরও বেশি লোক ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১.৭৬ মিলিয়নেরও বেশি বিদেশে তাদের ব্যালট জমা দিয়েছেন এবং ৪.৯ মিলিয়ন প্রথমবার ভোটার হয়েছেন। দেশে ভোটারদের জন্য মোট এক লাখ ৯২ হাজার ২১৪ টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়েছিল।

প্রতিটি ভোটার দুটি ব্যালট জমা দিয়েছেন—একটি প্রেসিডেন্টের জন্য এবং অন্যটি সংসদীয় ডেপুটিদের জন্য, যাদের সবাই পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। ৩০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল এবং দেড় শতাধিক স্বতন্ত্র সংসদীয় প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

নির্বাচনে পাঁচটি বহুদলীয় জোট ছিল—পিপলস অ্যালায়েন্স, ন্যাশন অ্যালায়েন্স, অ্যান্সট্রাল অ্যালায়েন্স, লেবার অ্যান্ড ফ্রিডম অ্যালায়েন্স এবং ইউনিয়ন অব সোশ্যালিস্ট ফোর্সেস অ্যালায়েন্স৷ সূত্র : কালের কণ্ঠ