২৩৬৭ গেরিলার ‘মুক্তিযোদ্ধা’ স্বীকৃতি বহাল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

এই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

 

আদেশের পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী  বলেন, গেরিলা বাহিনীর ২৩৬৭ জনের তালিকা সম্বলিত প্রকাশিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনকে আদালত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে মুকিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবরের গেজেট বাতিলের ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয় ডিসেম্বরে।

 

গত বছর ১৯ জানুয়ারি ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে।

 

সেই সঙ্গে দেওয়া রুলে ওই প্রজ্ঞাপনটিকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী উপসচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচের কমান্ডার (মাঝখানে) মনজুরুল আহসান খান। পারিবারিক অ্যালবামের ছবি।

ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচের কমান্ডার (মাঝখানে) মনজুরুল আহসান খান। পারিবারিক অ্যালবামের ছবি।

 

১৯৭১ সালে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ নেয়।

 

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রও সমর্পণ করেছিলেন এই গেরিলারা।

 

আবেদনকারী পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারসহ প্রতিটি সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সূত্র: বিডিনিউজ