২০ বলে ‘বুড়ো’ শেহবাগের ফিফটি

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ভারতীয় সাবেক তারকা ওপেনার বীরেন্দ্রর শেহবাগ।

বাংলাদেশ লিজেন্ডস দলের বিপক্ষে ১১০ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে শচীন টেন্ডুলকারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন শেহবাগ।

ইনিংসের প্রথম ওভারে মোহাম্মদ রফিকের বলে তিন চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে ১৯ রান আদায় করে নেন শেহবাগ। মোহাম্মদ শরীফের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রান আদায় করেন শেহবাগ। আলমগীর কবিরের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই চার হাঁকান শচীন। চতুর্থ ওভারে শরীফের বলে দুটি চার মারেন শেহবাগ।

চার ওভার খেলা শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫১ রান। শেহবাগের সংগ্রহ ১৬ বলে ৩৯ রান। আলমগীর কবিরের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ,পঞ্চম ও শেষ বলে যথাক্রমে চার, চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২০ বলে ফিফটি (৫৩) করেন শেহবাগ। পাঁচ ওভারের খেলা শেষে ভারতের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান।

শুক্রবার ভারতের রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ন সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোড সেফটি ওয়াল্ড সিরিজে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজিমউদ্দিনের ৪৯ রানের পরও ১০৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ লিজেন্ডস ক্রিকেট দল।

এদিন ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভারে ৫৯ রান সংগ্রহ করেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা দুই ওপেনার নাজিমউদ্দিন ও জাভেদ ওমর বেলিম।

এরপর মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৯ বলে মাত্র ১২ রানে প্রজ্ঞান ওঝার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জাভেদ ওমর বেলিম। ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার নাজিমউদ্দিন। ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাঁ-হাতি স্পিনে বিভ্রান্ত হন তিনি। তার আগে ৩৩ বলে আট চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ রফিক। ইউসুফ পাঠানের বলে তারই সহোদর ইরফান পাঠানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ রফিক (১)।

জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবাল ফেরেন ১০ বলে মাত্র ৭ রান করে। ৬ বলে মাত্র ৩ রানে যুবরাজ সিংয়ের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন হান্নান সরকার। জাতীয় দলের সদ্য সাবেক তারকা বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ২ রান করে রান আউট হন।

এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ শরীফ। মনপ্রীত গনির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে মুনাফ প্যাটেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক মাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন রাজিন সালেহ। তিনি টি-টোয়েন্টির ম্যাচটি খেলেছেন টেস্টের আদলে। ২৪ বলে মাত্র ১২ রান করে ভিনয় কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সালেহ।

শেষ দিকে হাল ধরতে পারেননি খালেদ মাহমুদ সুজন ও আলমগীর কবিররা। ৭ বলে ৭ রানে আউট সুজন। শূন্য রানে ভিনয় কুমারের বলে আলমীর কবির বোল্ড হলে ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল।

ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন প্রজ্ঞান ওঝা, যুবরাজ সিং ও ভিনয় কুমার। একটি করে উইকেট নেন মনপ্রীত গনি ও ইউসুফ পাঠান।

 

সুত্রঃ যুগান্তর