২০২৩ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও শুরু হচ্ছে এখন থেকে!

গত বছর মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটিই শেষ। এরপর প্রাণনাশি করোনার ভয়াল থাবায় একটানা ৯ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে টাইগাররা। দীর্ঘ বিরতির পর ২০ জানুয়ারি বুধবার আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম, মুশফিক, সাকিব-রিয়াদরা।

প্রিয় জাতীয় দলকে আবার ওয়ানডে-টেস্ট খেলতে দেখতে খুব স্বাভাবিকভাবেই পুরো দেশ ও জাতি উন্মুখ অপেক্ষায়। কিন্তু এদিকে যে দলটির সাথে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে এবার খুব দুর্বল! কমজোরি!

এর চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দল নিয়েও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সাথে ওয়ানডেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে এবারের অনভিজ্ঞ ও ভাঙ্গাচোরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী টিম বাংলাদেশের সাথে পেরে উঠবে?

এমন এক দুর্বল দলের বিপক্ষে কি ভাল খেলার সেই তাগিদ ও তাড়া থাকবে? এমন এক দলের সাথে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা উপহার দিতে কতটা মরিয়া টাইগাররা? নাকি আত্মতুষ্টি-আত্মতৃপ্তি কাজ করবে ভিতরে?

আসলে বাংলাদেশের টার্গেট কী? এ সিরিজ নিয়ে কোচ, ক্যাপ্টেন কী ভাবছেন? তাদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনাটা আসলে কেমন? সিরিজ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে সেটাই জানালেন টাইগার হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

তার প্রথম কথা, ‘অবশ্যই আমরা খেলতে মুখিয়ে আছি। বলতে পারেন- এক্সাইটেড। রোমাঞ্চিত। আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই অনুশীলন করছি। এছাড়া ছেলেরা ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে খেলেছে। ক্রিকেটার ও কোচদের কারোই আর তর সইছে না। আমার মনে হয় আমরা গত আট-নয়দিনে ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি এবং সামনের দুদিনও প্র্যাকটিসটা ভাল হবে।’

এ সিরিজকে কোন রকম হেলাফেলা বহুদুরে, একদম শতভাগ সিরিয়াসলি নেয়ার জোর তাগিদ টাইগার কোচের কণ্ঠে। সবচেয়ে বড় কথা তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ সিরিজই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর পথে যাত্রা শুরু। এটাই বিশ্বকাপের পথে প্রথম পদক্ষেপ টিম বাংলাদেশের।

তার কথা, ‘এটা আমাদের জন্য একটা বড় সিরিজ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট কাউন্ট করা হবে। আমাদের অবশ্যই এ যাত্রার শুরুটা ভাল করতে হবে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছি। আমরা এ সিরিজে শুভ সূচনা করতে চাই।’

ডোমিঙ্গো জানিয়ে দিয়েছেন, টিমের ব্যাটিং পজিশন এবং দায়িত্ব-কর্তব্য ঠিক করার ক্ষেত্রেও এ সিরিজের আছে অন্যরকম গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য। তার সোজা উচ্চারণ, ‘খালি চোখে যদিও বিশ্বকাপের এখনো তিন বছর বাকি। তবে আমরা জানি, সময় কত দ্রুতই চলে আসে। এই সিরিজটা হবে বিশ্বকাপের পথে প্রথম পা ফেলা। এ নতুন পথ চলায় আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে একটু পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে। কয়েকজনকে এমন পজিশনে নামানো হবে, যেখানে তারা আগে কখনো খেলেনি। তবে এটা ঠিক যে বিশ্বকাপের ৬ থেকে ৮ মাস আগে ব্যাটিং লাইনটা ঠিক করে ফেলতে হবে।’

ব্যাটিং পজিশন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সবার ব্যাটিং পজিশনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এবং যাতে করে তারা বিশ্বকাপে ওই পজিশনেই ব্যাটিং করতে পারে।’

ডোমিঙ্গো সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘এখন আমরা ব্যাটিং লাইনআপের সেরা কম্বিনেশনটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। যাতে করে বিশ্বকাপের ছয় থেকে আট মাস আগেই সবাই নিজ নিজ পজিশনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। ততদিনে সবাই নিজ নিজ পজিশনে অন্তত গোটা বিশেক ম্যাচ খেলে থিতু হয়ে যাবে এবং নিজ নিজ কর্তব্য ও ভূমিকা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারনা পাবে। তবে পরিবর্তন না হলেও ভিন্ন কন্ডিশনে বিকল্প খোঁজা হবে। তারপর বিশ্বকাপের আগের বছর সব চূড়ান্ত করে ফেলা হবে। ’

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ