২০২২ সালে দেশে জাপানি বিনিয়োগের ঢেউ আসবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘২০২২ সালে আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত হলে জাপানভিত্তিক কোম্পানি ও যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের একটি নতুন ঢেউ আসবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং জি-টু-জি ও পি-টু-পি উভয়পর্যায়ের যোগাযোগকে স্বাগত জানায়। অনেক ক্ষেত্রে জাপান ও বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়নে অথবা আইসিটি’র মতো উদীয়মান খাতে উন্নয়ন অংশীদার হতে পারে।’

আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) ‘জাপান-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’-এ বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অনুযায়ী যেহেতু জাপান বাংলাদেশের বিদেশি শীর্ষ পাঁচটি বিনিয়োগকারী দেশের অন্যতম, তাই অর্থায়ন, নির্মাণ, পুঁজি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মেগা-প্রজেক্টগুলোতে দেশটি আমাদের অন্যতম প্রধান অংশীদার হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক এখন এক ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জাপানে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জাপান থেকে আমদানির পরিমাণ ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের বিনিয়োগ, পণ্য ও রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র্য চাই। আমরা সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে শিল্প ও ভোক্তা উভয় বৈশ্বিক বাজারেই সেবা দিতে চাই। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোতে সহায়তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালে জাপানে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে, আমরা আজও তার সুফল ভোগ করছি। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতির দিতে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হচ্ছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন শেখ হাসিনার এ অলৌকিক উন্নয়নের গল্প শোনানো হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে গল্প।

যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তখন বাংলাদেশ দ্রুত এ মহামারি মোকাবিলা করে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রেখেছে।’

সূত্রঃ যুগান্তর