২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার নজর যেদিকে থাকবে

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, ২০২২ সালে তার দেশ প্রাধান্য দেবে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির দিকে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে এক বক্তব্যে কিম এ কথা বলেছেন। শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া বর্তমানে  ‘ভয়াবহ জীবন-মরণ সমস্যার’ মুখোমুখি। এরই মধ্যে নতুন বছরের কর্মসূচিতে অর্থনৈতিক চাকা সচল আর জনগণের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়াই কিমের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওই বক্তব্যে চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্র কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ে কিম কোনো কথাই বলেননি বলে এএফপি জানিয়েছে।

কিম বলেন, দেশের উন্নয়ন আর জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই এখন মূল কাজ।

তিনি এ সময় ২০২১ সালের ‘বিরূপ পরিস্থিতির’ বিষয়টি স্বীকার করে ‘জনগণের খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের সমস্যা সমাধানে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ ঠিক করেন বলে  দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ সময় কিম বলেন, মহামারি মোকাবেলা করা এই বছরে দেশের প্রধান লক্ষ্য।

পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছে উত্তর কোরিয়ার ওপর। যা দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।  এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে দেশজ উৎপাদনও তলানিতে ঠেকেছে। যা ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।

করোনা মহামারির কারণে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ২০২০ সালের জানুয়াতিতে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে নিষেধাজ্ঞার বাইরে যেসব দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আমদানি-রফতানি চালু ছিল তাও বন্ধ হয়ে যায়। এসবের কারণে দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি পর্যন্ত দেখা দেয়। ২০২৫ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেবে উত্তর কোরিয়া।

 

সূত্রঃ যুগান্তর