‘১৯৯১ সালে স্থুল কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ‘১৯৯১ সালে স্থুল কারচুপির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। ২০০১ সালেও কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষের যে গ্যাস, সেই গ্যাসের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই গ্যাসও তারা দিতে পারেনি। ২০০১ এর পরে সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরও তারা করতে পারেনি। কোন সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনে বিএনপি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবে না।’

আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার দুপুরে ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকেই ভণ্ডুল করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে। বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখের পরে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনও শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সুতরাং, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পেছনের প্রেক্ষাপটটা হলো একটা অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করা এবং এই ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার একটা প্রশ্ন আছে। এটা দেশের মানুষ মানে না।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজনেই কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছেও। সুতরাং, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই তারা এসব কথা বলে।’

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি আমাদের কাছে কোন সাবজেক্ট নয়। টুকু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। ইকবাল মাহমুদ টুকুরা এভাবেই মিথ্যা বলেন। সত্যকে আড়াল করার জন্য তাদের জন্ম হয়েছে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিলীন করে দিয়েছিল এই টুকু সাহেবরা।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির লোকেরাও এই সভায় উপস্থিত হবে। কারণ, যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপের নাগরিক নয়।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জি/আর