১২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিলেন পাকিস্তানের মেয়েরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

১২ ওভারে তথা ৪৬ বল হাতে রেখে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মেয়েরা।  একই মাঠে এশিয়ার কাপে উদ্বোধনী ম্যাচে ৫০ বল হাতে রেখে থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারান টাইগ্রেসরা।

সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল বাংলাদেশ, দুদিন পর একই মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় একই রকম পারফরম্যান্স দেখাল পাকিস্তান।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭০ রান তোলে নিগার সুলতানার দল।

আর ৭১ রানের মামুলি লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়েই পার করে দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ওপেনার মুনিবা আলিকে কেবল ফেরাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

ওপেনিং জুটিতে ৭.২ ওভার খেলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন পাকিস্তানের মুনিবা আলি ও সিদ্রা আমিন। ৮ম ওভারে সালমা খাতুনের তৃতীয় ডেলিভারিতে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মুনিবা।  ১৯ বলে ১৪ রানে ফেরেন তিনি।

এর পর আর কোনো বিপদ ঘটেনি পাকিস্তান শিবিরে। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক বিসমাহ মারুফকে সঙ্গে নিয়ে ১২. ২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান ওপেনার সিদ্রা।

৩৫ বলে ৩৬ করে নটআউট থাকেন সিদ্রা।  ২০ বলে ১২ রান করেন বিসমাহ।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ।  ব্যাটিংয়ে নেমেই বড় ধাক্কা খান বাঘিনীরা।  স্কোরবোর্ডে ৩ রান উঠতেই ৩ উইকেট হারান তারা।  এর পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লাল-সবুজের দল।

পাকিস্তানি বোলারদের তোপে পড়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭০ রান তুলতে পারে তারা।

সর্বোচ্চ রান আসে সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুনের ব্যাট ছুঁয়ে। ২৯ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক নিগার সুলতানার।  ৩০ বলে ১৭ রান করেন তিনি।

ম্যাচের শুরুতে ওপেনার শামীমা ফেরেন মাত্র ১ রান করে। ডায়ানা বেগের বল ইনসাইড এজ হলে বোল্ড হন এ ওপেনার। পরের ওভারে সাদিয়া ইকবালের একটি ডেলিভারি স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড ফারজানা হক। তিনিও করেন মাত্র ১ রান।

এর পরের ওভারে ডায়ানা বেগের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয় রোমানা আহমেদ। এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন মাত্র ১ রানে।

দলীয় ২৭ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হন লতা মণ্ডল। তিনি করেন ১৯ বলে ১২ রান।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন ডায়ানা বেগ ও নিদা দার।  একটি করে পেয়েছেন সাদিয়া ইকবাল ও উমাইমা সোহাইল।