১০ লাখ মানুষ যাবে মঙ্গলে!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্পেস এক্সের সিইও ইলন মাস্ক ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য শহর তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন টুইট সিরিজে। টুইটে জানান, আগামী ১০ বছরে তিনি ১ হাজার স্টারশিপ রকেট তৈরি করতে চান। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এ রকেটগুলো বানানো হবে সাউথ টেক্সাসে।

তিনি আরও জানান, দিনে ৩টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে এমন স্টারশিপ তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য। সবাই যাতে মঙ্গলে ভ্রমণ করতে পারেন সেটাও নিশ্চিত করতে চান তিনি। চাইলে যেকেউ মঙ্গলে যেতে পারবে। টাকা না থাকলে ঋণও দেওয়া হবে। মঙ্গলে অনেক চাকরির বাজারও তৈরি হবে।

ইলন মাস্কের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিটি স্টারশিপে ১০০ টনের বেশি পণ্য ও ১০০ মানুষ কক্ষপথে পাঠানো সম্ভব হবে।  কী কী পাঠানো হবে তা ইলন মাস্ক উল্লেখ না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, খাবার, পানি, বিল্ডিং তৈরির সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও টিউব (অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম) নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে স্টারশিপগুলো।

ইলন মাস্কের মতে, গ্রহ থেকে গ্রহ ভ্রমণে প্রতি বছর কক্ষপথে কয়েক মেগাটনের পণ্য  বহন করা জরুরি। প্রতি বছর মঙ্গলে ১০০ মেগাটনের পণ্য ও ১০০ মানুষ বহন করবে ১ হাজার স্টারশিপ। এভাবে ১০ বছরে ১০ লাখ মানুষ মঙ্গলে পৌঁছাতে পারবে।

প্রতি ২৬ মাস পর পর পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহ কাছাকাছি আসে। এ সময় জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ৩০ দিনে ১ হাজার স্টারশিপ মঙ্গলে পাঠানো হবে। আগের টুইটে ১ হাজার স্টারশিপ ১ বছরের মধ্যে পাঠানোর কথা বললেও ২৬ মাসে একই পরিমাণ স্টারশিপ মঙ্গলে পাঠানোর কথা বলেন তিনি। যাই হোক, ১ বছর বা ২৬ মাসের মধ্যে ১ হাজার স্টারশিপ পাঠানোর সক্ষমতা অর্জন করতে স্পেস এক্সের আরও বহু বছর সময় লাগবে।

মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনে কী কী করা হবে তা নিয়ে ইলন মাস্ক বেশ সরব। তবে সেখানে মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকবে তা নিয়ে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। কারণ অক্সিজেন বা পানি (বরফ আছে) কোনোটাই নেই মঙ্গলে। তাই কৃত্রিম লাইভ সাপোর্টের সহায়তা নিয়ে আদৌ সেখানে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে কিনা সে বিষয়ে শঙ্কা রয়েছে।