১০ ওভারে ৫৭, কত করবে নিউজিল্যান্ড?

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কঠিন চাপে পড়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৭ রান। এখান থেকে শেষ দশ ওভারে আর কত রান যোগ করতে পারবে তারা সেটিই দেখার বিষয়।

এরই মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেছেন সেমিফাইনালের নায়ক ড্যারেল মিচেল। তিনি করেছেন ১১ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে খেলছেন মার্টিন গাপটিল (৩৩ বলে ২৭) ও কেইন উইলিয়ামসন (১৯ বলে ১৮ রান)।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিউই ওপেনার গাপটিল।

কিন্তু পাওয়ার প্লে’তে সে তুলনায় রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের মতো দ্বিতীয় ওভারেও আসে একটি বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান সেমিফাইনালে কিউইদের জয়ের নায়ক মিচেল।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা সেই ওভারেই জীবন পান গাপটিল। তৃতীয় বলে তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগেছিল বল। কিন্তু সেটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। ফলে ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়ে যান গাপটিল.

তবে গাপটিলের ক্যাচ ছাড়লেও মিচেলকে ফেরাতে ভুল করেননি ওয়েড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ কাটার করেছিলেন জশ হ্যাজলউড। বলের গতি ব্যবহার করে লেট কাটের মতো খেলেন মিচেল। কিন্তু তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় ওয়েডের গ্লাভসে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৮ বলে ১১ রানের ইনিংসের।

মিচেলের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। প্রথম চার ওভারে ২৮ থেকে পরের দুই ওভারে কিউইদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে দারুণ বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে আটকে রেখেছেন অসি বোলাররা।

প্রথম উইকেটের সেই ধাক্কা টানা চার ওভার পর্যন্ত সইতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের পঞ্চম থেকে অষ্টম ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারিই হয়নি। আট ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে মাত্র ৪১ রান। উইলিয়ামসন তখন অপরাজিত ১২ বলে ৬ রানে আর গাপটিল খেলছিলেন ২৮ বলে ২২ রান নিয়ে।

সেখান থেকে নবম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান রেট কিছুটা বাড়িয়ে নেন উইলিয়ামসন। সেই ওভারেই পূরণ হয় কিউইদের দলীয় পঞ্চাশ। অ্যাডাম জাম্পার করা দশম ওভারে ছয়টি সিঙ্গেল নিলে ইনিংসের মাঝপথ শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৭ রান।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ