হোমোসেক্সুয়ালিটি ‘সমর্থন’ করায় ইরানে নারী সমকামী গ্রেপ্তার

সিক্সজি ইরানিয়ান অ্যান্ড লেসবিয়ান অ্যান্ড ট্রান্সজেন্ডার নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, সারাহ নামে একজন ইরানি সমকামী নারীকে তুরস্কে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নভেম্বর মাসে সারাকে গ্রেপ্তার করে।

ইরানপন্থী তাসনিম সংবাদ সংস্থার মতে, ‘মেয়েদের পাচারের জন্য একটি দল গঠন করা এবং সমকামিতাকে সমর্থন করার’ অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। ইরানের ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শরিয়া আইন সমকামী সম্পর্কের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখেছে।

আইআরজিসির একটি বিবৃতি অনুসারে, অস্পষ্ট ‘পাচার নেটওয়ার্ক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘সমকামী গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ ও সমর্থন করা’ যারা ‘ট্রান্স-রিজিওনাল গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করে’।

ইসলামিক রিপাবলিকের নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই ভিন্নমতাবলম্বী, সরকার ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অযৌক্তিক অভিযোগ তোলে। উল্লেখ্য, সিক্সজি পতাকার ছয়টি রঙকে মূর্ত করে।

সিক্সজি বলছে, সারাহ ২৮ বছর বয়সী। তিনি ইরাকি, কুর্দিস্তানে থাকতেন এবং কাজ করতেন। ইরাকের জিহাদিদের সম্পর্কে বিবিসি ফার্সিকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর কুর্দিস্তান পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ২১ দিন জেল খাটেন।

সিক্সজি আরো বলেছে, সারাহ নিজেকে বাঁচাতে তুরস্কে পালানোর চেষ্টা করেছিল এবং তার কারাবাসের ঘটনায় একটি ভিডিও প্রকাশ করতে রাজি হয়েছিল। সিক্সজি সারার ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।

সারাহ ভিডিওটিতে বলেন, আজ আমি ইরানে পৌঁছেছি। সরকার জানতে পেরেছে যে আমি আমার বন্ধুদের মাধ্যমে এখানে এসেছি। যেকোনো সময় আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আমার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। আমি ইরান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি, আমি করি না। আমি এটা করতে পারি কি না জানি না।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ