হিজাবের কারণে ভলিবল খেলা থেকে বাদ মুসলিম শিক্ষার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেস অঙ্গরাজ্যের স্কুলে ভলিবল খেলার প্রতিযোগিতা থেকে হিজাবের কারণে বাদ দেওয়া হয় এক শিক্ষার্থীকে।

গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের টেনেস অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের ভেলর কলেজিয়েট একাডেমির ভলিবল প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী নবম গ্রেডের শিক্ষার্থী নাজাহ আকিলকে টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়।

খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রেফারি এসে নাজাহ ও তার সহকারি কোচকে বলে, শিক্ষার্থীর হিজাব ন্যাশনাল ফেডারেশ অব স্টেট স্কুল এসোসিয়েশন-এর নীতি লঙ্ঘনা করছে। দেশের মাধ্যমিক স্কুলে খেলার কিছু নির্দেশনা দেয় ন্যাশনাল বোর্ড। এখন খেলার জন্য নাজাহের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন।

নাজাহ ও তাঁর কোচের বিষয়টি জানা না ছিল না। ইতিপূর্বে হিজাব পরিধান করেই সে অনেক খেলেছে। যোগাযোগের অভাব ও নিয়মের কঠোর প্রয়োগের ফলে নাজাহ কান্না করে।

নাজাহ বলেন, ‘আমি এ জন্য কাঁদছি না যে আমি কষ্ট পেয়েছি। বরং আমি কাঁদছি, কারণ আমি ক্রুদ্ধ। আমি এটাকে অন্যায় বলে মনে করি।’

স্কুলের ভলিবয়েল প্রতিযোগিতা দেখার জন্য নাজাহের মা আলিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমার বাচ্চা কাঁদছে। কারণ সে মর্মাহত। এটি অন্যায়। ওর সঙ্গে ধর্মের কারণে এমনটি করা হয়। হিজাবের কারণে এমন আচরণ করা হয়।’

আমেরিকার মুসলিম এডভাইজারি কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক সাবিনা মহিউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সংবিধান প্রদত্ত অধিকার অনুসরণ করে টেনেসের অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণের জন্য একজন মুসলিম মেয়েকে কেন আলাদা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে? এ নিয়মটি একজন ১৪ বছরের মেয়েকে বন্ধুদের সামনে অপমানের মতো। অথচ দেশের অন্যত্র আমাদের মেয়েরা খেলছে। আইনটি মুসলিম মেয়েদের জন্য এমন যেন মুসলিম হওয়ার জন্য তাদের অনুমতির প্রয়োজন।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ