সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
লেবাননে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। এতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে লড়াই বন্ধ করার সমাধান অনুসন্ধান করা হয়েছে। দুটি রাজনৈতিক সূত্র বিশদ প্রকাশ না করে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ হিজবুল্লাহর মিত্র হিসেবে পরিচিত। এর আগেও তার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়েছে দু পক্ষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছে যা তার মিত্র ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে শত্রুতা শেষ করবে, কিন্তু এই প্রচেষ্টা এখনও ফল দেয়নি।
গাজা যুদ্ধের সমান্তরালে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষের পর ইসরাইল সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে লেবাননে বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করে। এতে প্রাণ হারান হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, হাশেম সাফিয়েদ্দিনসহ অনেক শীর্ষ কমান্ডার। বিপরীতে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ইসরাইলি সেনাদেরও। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধে অন্তত ৪৭ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। শুধু গত বুধবারই নিহত হয়েছে ৬ সেনা।
অন্যদিকে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৩৮৬ জন নিহত এবং ১৪ হাজার ৪১৭ জন আহত হয়েছে।
এদিকে বুধবার (১৪ নভেম্বর) ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির পরও লেবাননে হামলার স্বাধীনতা চায় ইসরাইল।
গত সপ্তাহে ইসরাইলের জেরুজালেমে দেশটির কৌশলগত বিষয়কমন্ত্রী রন ডার্মার ও নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জিন-নোয়েল ব্যারোট। আলোচনার পর একটি সংসদীয় শুনানিতে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেছিলেন, ইসরাইলি কর্মকর্তারা বারবার যুদ্ধবিরতিতে এই একটি শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।
যদিও এমন শর্ত মেনে হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে জাের সংশয় রয়েছে। এমনকি এমন শর্ত অগ্রাহ্য করতে পারে ফ্রান্সও। লেবাননের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে ফ্রান্সের। প্যারিস চায়, দ্রুত ইসরাইলে হামলা বন্ধ করে লেবানন পুনর্গঠনে সহায়তা করতে।
সূত্র: যুগান্তর