হাসারাঙ্গা খুব বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারবে না: ডোমিঙ্গো

বাছাই পর্বে দারুণ বোলিং করেছেন লঙ্কান লেগস্পিনার হাসারাঙ্গা। ভাবা হচ্ছে, তিনিই হবেন অধিনায়ক দাসুন সানাকার তুরুপের তাস।

ওদিকে বাংলাদেশের তো আজন্মই লেগস্পিন-গুগলি বোলিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে। এখন রোববারের ম্যাচে শারজাহ হাসারাঙ্গাকে সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের ভাগ্য।

বাংলাদেশ কোচ ডোমিঙ্গোর দাবি, ‘আমরা গত কয়েক মাসে হাসারাঙ্গাকে বেশ কয়েকবার মোকাবিলা করেছি। আমরা তার সামর্থ সম্পর্কে সচেতন। তিনি কতটা কি করতে পারেন , তাও আমাদের জানা।’

মূল পর্বে বাংলাদেশের সবকটা খেলাই আরব আমিরাত সময় বেলা ২টায়। এই ভর দুপুরে প্রচন্ড গরমের মধ্যে খেলা। এটা বাংলাদেশের জন্য ভাল হবে নাকি খারাপ? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি-ঝুকি দিচ্ছে। তার জবাব দিয়েছেন ডোমিঙ্গো।

তিনি সন্তুষ্ট। তার কথা, ‘দিনের বেলায় খেলা হওয়া আমি সন্তুষ্ট। সেটা বরং আমাদের অনুকুলে থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা এখন আর শিশিরের চিন্তা থাকবে না।’

টাইগার কোচের ধারণা, দিনের আলোয় খেলা হওয়ার কারণে বরং বাংলাদেশের স্পিনারদের সুবিধা হবে বেশি।’

বাছাই পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে আসলে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলা পড়তো। এখন রানার্সআপ হওয়ায় খেলতে হবে অন্য গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার সাথে।

এটা কি প্লাস না মাইনাস? এ সম্পর্কে ডোমিঙ্গোর ব্যাখ্যা, ‘এ পর্বে যে কোন দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। সেটা আপনি এই গ্রুপেই থাকুন কিংবা অন্য গ্রুপে।’

তার ভাষায় দুই গ্রুপই ভিষন শক্তিশালী। কাজেই মনে হয় না, এখানে কোন গ্রুপে খেলার কারণে আলাদা কোন অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যাবে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডোমিঙ্গো জানান, নতুন উইকেট তৈরির পর স্কোরলাইন কমে গেছে।

তার ধারণা এখানে লম্বা বোলাররা একটু বাড়তি সুবিধা পান। তিনি যখন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ছিলেন, সে সময়ে শারজায় খেলতে আসার অভিজ্ঞা থেকে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি যখন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ছিলাম, তখন দেখেছি দীর্ঘদেহী মরনে মরকেল কিভাবে বাড়তি ফায়দা আদায় করে নিয়েছে। আমার এখনো মনে আছে মরনে মরকেল এর হার্ড লেন্থে ফেলা বল খুব স্কিড করতো।’

তার ধারণা এখানে স্পিনারদেরও সফল হবার সম্ভাবনা আছে। ‘আপনি যদি উইকেট টু উইকেট বল করেন, তাহলে স্পিনারদের জন্যও বোল্ড আর লেগবিফোর উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে’- বলেন ডোমিঙ্গো।

শারজাহ স্টেডিয়ামের মাঠের আকৃতি ছোট, সেটা বাংলাদেশের জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে বলে ধারণা ডোমিঙ্গোর। তার ভাষায়, ‘আমরা পাওয়ার হিটিংয়ে দক্ষ নই। তাই মাঠের ছোট আকৃতি আমাদের সহায়ক হবে।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ