হাসপাতাল থেকে ফিরে আবারও অনশনে শিক্ষার্থীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরতদের মধ্যে ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসে আবারও অনশনে বসেছেন।

অসুস্থ ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে কাজল দাস ও আব্দুল্লাহ আর রাফি শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ফিরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনশন শুরু করেন। কাজল দাস জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে এবং আব্দুল্লাহ আর রাফি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল।

আব্দুল্লাহ আর রাফির স্বাস্থ্যের বিষয়ে ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক মো. জাহিদ আহমেদ জানান, দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। এভাবে না খেয়ে থাকলে শারীরিক সমস্যা আরও বাড়বে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের অনশনে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে রাফি বলেন, শরীর একটু স্বাভাবিক বোধ করায় আমি আবার এসেছি। আমার সঙ্গের এরা এখানে শীতের মধ্যে কষ্ট করছে, আমি যতক্ষণ স্বাভাবিক আছি ততক্ষণ এখানে থাকতে চাই। উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এদিকে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১২ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তিনি আবার আন্দোলনস্থলে ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে এবং ১২ শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছি। তারা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া সবসময় একটি মেডিকেল টিম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর